বয়সের ছাপ লুকাতে নায়ক–নায়িকাদের শরীর কাটাছেঁড়া নতুন কিছু নয়। হলিউড–বলিউডের অনেকেই মুখ ও গড়ন বদলাতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। কেটি পেরি থেকে কার্ডি বি—অনেক তারকা সে কথা স্বীকারও করেছেন। তবে বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে তথাকথিত সৌন্দর্য বাড়তে এই অস্ত্রোপচারের সমর্থন করেন না। মুখমণ্ডল ও শরীর নিয়ে তাঁর সহকর্মীদের কাটাছেঁড়ার প্রবণতায় যারপরনাই বিরক্ত তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেন, ‘আমি আসলে বয়সের সঙ্গে যুদ্ধ দেখে বিরক্ত। বিশেষ করে সিনেমা দুনিয়ার মানুষেরা যেভাবে এসব করছেন! আমি অনেক সহকর্মীর কথা জানি, যাঁরা অনেকবার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের চেহারা ও শরীর বদলেছেন।’ খুব বেশি মানুষ এই প্রবণতার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না উল্লেখ করে রাধিকা বলেন, ‘আমি এই প্রবণতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি না। খুব বেশি লোক এর বিরুদ্ধে কথাও বলছেন না। এখন শরীর নিয়ে যাঁরা নানা রকম ইতিবাচক কথাবার্তা বলছেন, তাঁদের অনেকেই নিজেদের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এসব দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। এসব আমি মানতেই পারছি না।’
সমঝোতার প্রবণতা ক্রমে কমে আসছে রাধিকার। বিশেষ করে বিনোদন অঙ্গনে চলমান কতগুলো অনিয়মের ক্ষেত্রে। শরীর কাটাছেঁড়া ছাড়াও বলিউডের অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পার্টিসহ নানা বিষয় নিয়ে ত্যক্তবিরক্ত তিনি। তাই কাজ ছাড়া বেশির ভাগ সময়ই তিনি লন্ডনে থাকেন। সেখানে স্বামী বেনেডিক্ট টেইলরের সঙ্গে সময় কাটান। যেমন এখন, বিক্রম বেদার শুটিং শেষ করেই তিনি চলে গেছেন যুক্তরাজ্যে। রাধিকা বলেন, ‘লন্ডনে থাকলে আমি কম উদ্বিগ্ন থাকি। তখন মনে পড়ে, আমি আসলে কী করতে চাই। ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকলে আমি ভালো থাকি। জীবন এখানে বিচিত্র কিন্তু মুম্বাইয়ে ক্লান্তিকর। কারণ, সেখানে জীবন মানেই ইন্ডাস্ট্রির এই সব মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া।’
বিক্রম বেদা ছাড়াও ফরেনসিক এবং মনিকা, ও মাই ডার্লিং নামে রাধিকার আরও দুটি ছবি আছে মুক্তির অপেক্ষায়।