২০০৫ সালে লাইফ হো তো অ্যাইসি সিনেমায় একটা ছোট্ট চরিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দার খাতা খুলেছিলেন বলিউড তারকা রাধিকা আপ্তে। অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক এই তারকা সব সময় অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি ভারতের গুণী ও ব্যস্ত অভিনেত্রীদের একজন। গত বছর লকডাউনে তিনি কাটিয়েছিলেন জীবনসঙ্গী বেনেডিক্ট টেইলরের সঙ্গে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। আর এবার তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে, নিজের বাড়িতে।
মহামারিকালে বলিউড তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় অন্যদের সচেতন করতে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটা ভিডিও পোস্ট করে মহামারি পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক করেছেন রাধিকা আপ্তে নিজেও। বলেছেন, ‘ঘরে থাকুন। শপিং না করলে মারা যাবেন না। করলে মারা যেতে পারেন। পুরোনো যা কিছু আছে, সেসব দিয়েই চালিয়ে নিন। এখন আমরা জীবন আর মৃত্যুর সরু এক পথ ধরে হাঁটছি।’
ইদানীং সিনেমা থেকে টিভি সিরিজে মন দিয়েছেন রাধিকা। তাঁকে দেখা যাবে টিভি সিরিজ ওকে কম্পিউটার আর শান্তারাম-এ। ওয়েব সিরিজের প্রতি আগ্রহ প্রসঙ্গে রাধিকা বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার বৈচিত্র্যময় চরিত্রের প্রতি ক্ষুধা আছে। আর সিনেমার চেয়ে ওয়েব সিরিজে নানা রঙের চরিত্র বেশি দেখা যায়। আসলে নারী অভিনয়শিল্পীদের জন্য ওয়েব প্ল্যাটফর্ম একটা দুর্দান্ত জায়গা।’ অভিনয়ই রাধিকাকে প্রতিনিয়ত বাঁচিয়ে রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই চাইনি আমার প্রচুর ফ্যান-ফলোয়ার হোক। কেবল চেয়েছি, জটিল চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। এগুলোই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, ব্যস্ত রাখে আর অনুপ্রাণিত করে।’
রাধিকা আপ্তে বলিউডের বড় পর্দায় পার্চড, দ্য ওয়েডিং গেস্ট, আন্ধাধুন, মাঝি: দ্য মাউন্টেন ম্যান, বদলাপুর, প্যাডম্যান, ফোবিয়া সিনেমায় বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের স্বাক্ষর রেখেছেন, ছিলেন স্যাক্রেড গেমস সিরিজেও। বেশ কিছু বাংলা সিনেমাও করেছেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত অন্তহীন উল্লেখযোগ্য। এখানে তিনি টিভি সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাহুল বোসের বিপরীতে। অতনু ঘোষের রূপকথা নয় ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন রাধিকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অহল্যাকে বলা হয় রাধিকার অন্যতম সেরা কাজ।