১ ও ২ ডিসেম্বর ঘটা করে বিয়ে করেছেন হলিউড ও বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাস। প্রথমে খ্রিষ্টান রীতি অনুযায়ী বিয়ে করে এই তারকা জুটি, এরপর হিন্দুমতে বিয়ে করেছেন তাঁরা।
পাশ্চাত্যমতে বিয়ের দিন প্রিয়াঙ্কার পরনে ছিল র্যালফ আর লরেনের সাদা রঙের হাতে এমব্রয়ডারি করা এক গাউন। এমব্রয়ডারি করা এই গাউনের সঙ্গে মানানসই ৭৫ ফুট লম্বা ভেল ছিল। প্রিয়াঙ্কা যখন তাঁর মায়ের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান, তখন ছয়জন লোক সেই ভেল তুলে ধরেছিলেন। এই সময় সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর হাতে ছিল তাঁর প্রিয় টিউব রোজ। বিয়ের মঞ্চে যাওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কা ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কারণ, পাশ্চাত্য রীতি অনুযায়ী এই সময় কনের পাশে তাঁর বাবা থাকেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার বাবা ২০১৩ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাই বলিউডের দেশি গার্লের সঙ্গে বাবার পরিবর্তে ছিলেন মা মধু চোপড়া।
২ ডিসেম্বর প্রিয়াঙ্কা হিন্দুমতে বিয়ে করেন। বিয়ের ছবিগুলোয় প্রিয়াঙ্কাকে কনের সাজে দেখা গেছে। বিয়ের লাল রঙের জোড়াতে অপরূপা হয়ে ওঠেন এই বিটাউন সুন্দরী। এদিন প্রিয়াঙ্কা ও নিক দুজনের পরনে ছিল প্রখ্যাত ডিজাইনার সব্যসাচীর ডিজাইন করা পোশাক। সব্যসাচী তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রিয়াঙ্কা আর নিকের ছবি শেয়ার করে পোশাকসংক্রান্ত মজাদার কিছু তথ্যও জানিয়েছেন। জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কার লাল রঙের পোশাকজুড়ে হাতে করা এমব্রয়ডারির কাজ আছে। আর এই এমব্রয়ডারি কাজগুলো যাঁদের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে, তাঁরা হলেন কলকাতার ১১০ জন শিল্পী। মুঘল ঘরানার অলংকারের সঙ্গে এই লেহেঙ্গা বানাতে ৩ হাজার ৭২০ ঘণ্টা অর্থাৎ পাঁচ মাস সময় লেগেছে। প্রিয়াঙ্কার অলংকারে আনকাট হিরে এবং জাপানি মুক্তার সঙ্গে ২২ ক্যারেটের সোনা লেগেছে।
বিয়ের পরই দিল্লিতে নিক-প্রিয়াঙ্কার বিয়ের রিসেপশন পার্টি রাখা হয়। এই পার্টিতে প্রিয়াঙ্কা রুপালি রঙের যে লেহেঙ্গা পরেছিলেন, তা তাঁর বিয়ের পোশাকের থেকে কোনো অংশে কম ছিল না। এই লেহেঙ্গার রহস্যও এবার ফাঁস হয়ে গেছে। আর এই লেহেঙ্গার পেছনের কথা শুনলে যেকেউ অবাক হতে বাধ্য। ফাল্গুনী সেনের পিকক ইন্ডিয়া এই লেহেঙ্গা তৈরি করেছে। রুপালি রঙের বিশেষ লেহেঙ্গাটি বানাতে ১২ হাজার ঘণ্টা অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছে। ৮০ জন শিল্পী মিলে এই লেহেঙ্গা মিলিয়নস ক্রিস্টাল দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন। ফাল্গুনী সেনের ডিজাইন করা এই রুপালি রঙের লেহেঙ্গার সঙ্গে লাল চূড়া, হিরের নেকলেস, মাথায় সাদা ফুল, আর সিঁথিতে লাল সিঁদুর রাঙিয়ে তিনি এই রাতে অপরূপা হয়ে উঠেছিলেন।