লকডাউনে নিজের চুল নিজেই কেটেছিলেন। নামকরা এক সাময়িকীর প্রচ্ছদের শুট করতে গিয়ে নিজের মেকআপ থেকে হেয়ারস্টাইল—সবটা নিজ হাতেই করেছিলেন। তো এরপরের চ্যালেঞ্জ কী?
বেশ হালকা মেজাজে লকডাউন পর্ব কাটিয়েছেন বলিউড তারকারা। রাধিকা আপ্তেও সেই দলে। তবে চুপচাপ বসে ছিলেন না তিনি। অর্থপূর্ণ সব কাজ করে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। করোনার পর নতুন রূপে, নতুন পরিচয়ে তিনি সামনে আসবেন। এ জন্য লকডাউনকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন তিনি।
লকডাউনে ভারতেই ছিলেন না রাধিকা। এখনো আছেন জীবনসঙ্গী, মিউজিশিয়ান বেনেডিক্ট টেইলরের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে। তবে দেশ থেকে দূরে থাকলেও কাজ থেকে দূরে ছিলেন না। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে নানাভাবে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন তিনি। মেতে ছিলেন নানা সৃষ্টিশীল কাজে। বলা চলে গৃহবন্দী অবস্থাটিকেও পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন তিনি। কী কী করেছেন তিনি? ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য ফটোশুট করেছেন। লিখেছেন রোমাঞ্চকর বেশ কিছু চিত্রনাট্য। ঘরে থাকা মানেই কলম ধরার উপযুক্ত সময়। শুটিংয়ের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেলে সেই সুযোগ তিনি পাবেন না।
রাধিকা মনে করেন, তাঁর ব্যক্তিগত অভিধানে ‘অসম্ভব’ শব্দটি নেই। তাই যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে সর্বদা প্রস্তুত তিনি। শুধু পর্দায় নয়, পর্দার বাইরেও নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন রাধিকা। লকডাউনে নিজের চুল নিজেই কেটেছিলেন। নামকরা এক সাময়িকীর প্রচ্ছদের শুট করতে গিয়ে নিজের মেকআপ থেকে হেয়ারস্টাইল—সবটা নিজ হাতেই করেছিলেন। তো এরপরের চ্যালেঞ্জ কী? পরিচালক হিসেবে দারুণ কিছু করতে চান রাধিকা। ইতিমধ্যে ‘দ্য স্লিপওয়াকারস’ নামের এক স্বল্পদৈর্ঘ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয়েছে তাঁর। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে ছবিটি। সামনে তিনি আরও ছবি পরিচালনা করতে চান।
অভিনেত্রী হিসেবে রাধিকার বাংলা চলচ্চিত্র ‘অন্তহীন’ ভীষণ সমাদৃত হয়। পরে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘অহল্যা’য় তাঁর অনবদ্য অভিনয় তাঁকে ভীষণভাবে পরিচিতি এনে দেয়। পরে একে একে ‘মাঝি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’, ‘স্যাকরেড গেমস’, ‘লাস্ট স্টোরিজ’, ‘প্যাডম্যান’, ‘পার্চড’, ‘আন্ধাধুন’ করে তারকা শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন তিনি। শিগগিরই নিজের লেখা চিত্রনাট্যে সিনেমা পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত রাধিকা আপ্তে।