সুফিগানের প্রখ্যাত শিল্পী পাকিস্তানের ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে তিনি অবৈধভাবে ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার ভারতে এনেছেন। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৪৩ লাখ রুপি। এরই মধ্যে ইডি থেকে রাহাত ফতেহ আলী খানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছে ২ কোটি ৪৩ লাখ রুপির হিসাব চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, যদি রাহাত ফতেহ আলী খান এই অর্থের যথাযথ হিসাব দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে এই অর্থের জন্য শতকরা ৩০০ ভাগ জরিমানা দিতে হতে পারে। যদি এই জরিমানা তিনি না দেন, তাহলে ভারতের কোথাও তিনি গান গাইতে পারবেন না। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারিতে রাখার নোটিশও জারি করা হতে পারে।
পাকিস্তানের নাগরিক হলেও রাহাত ফতেহ আলী খান এখন বেশির ভাগ সময় ভারতেই থাকছেন। এখানে বলিউডের ছবিতে গান করছেন। পাশাপাশি ভারতে নিয়মিত শো করছেন। এখান থেকেই গান গাওয়ার জন্য যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আর যুক্তরাষ্ট্রে। এসব শো থেকে যা আয় হয়, সেই অর্থ নিয়ে আসেন ভারতে। তবে এখন অভিযোগ করা হচ্ছে, ভারতে আনা তাঁর এই পুরো অর্থই অবৈধ। কারণ, এ ব্যাপারে তিনি কোনো ঘোষণা দেননি কিংবা কোনো কর দেননি।
রাহাত ফতেহ আলী খানের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে ২০১১ সালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। ওই সময় তাঁর কাছে ৮৯ কোটি ১ লাখ ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যায়।
চাচা ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের পাশাপাশি অল্প সময়েই ভারতে জনপ্রিয় হন রাহাত ফতেহ আলী খান। ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান মারা যাওয়ার পর অল্প সময়েই কাওয়ালি আর সুফিগানের শিল্পী হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা পান। ভারতে রয়েছে তাঁর গানের অসংখ্য শ্রোতা আর ভক্ত। বলিউডের ছবিতে তিনি প্রথম গান গেয়েছেন ২০০৩ সালে। ছবির নাম ‘পাপ’ আর গানটি ছিল ‘মন কি লগন’। এরপর গেয়েছেন অসংখ্য গান। ভারতে তিনি পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার, আইফা, মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ডস, স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।