ইতালির লেক কোমোর ভিল দ্য বালবিয়ানেলে গত ১৪ নভেম্বর রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে হয়েছে কঙ্কনি রীতি মেনে। আর পরদিন ১৫ নভেম্বরে সিন্ধি রীতিতে বিয়ে করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই তারকা জুটি। বিয়ের পর এক রিসেপশন অনুষ্ঠানে রণবীর সিং সবার সামনে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরিচয় করিয়ে দেন নতুন বউকে। বললেন, ‘প্রিয় ভদ্র মহোদয় ও ভদ্র মহোদয়াগণ, আমি পৃথিবীর সেরা সুন্দরীকে বিয়ে করেছি। আজ রাতে আপনাদের সবাইকে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। এটা সত্যিই একটা অসাধারণ রাত হতে যাচ্ছে।’
স্বামীর সেই প্রশংসা এখনো যেন দীপিকার কানে বাজছে। এমনটাই মনে করছেন বলিউডের অনেকে। তাঁদের মতে, ‘তা নয়তো কী! যদি তা না-ই হতো, তাহলে আমির খানের মতো অভিনেতাকে মুখের ওপর “না” বলে দিতে পারত?’
কী হয়েছে? জানা গেছে, আমির খান এখন মহাব্যস্ত তাঁর ‘মহাভারত’ ছবি নিয়ে। এই ছবিতে ‘দ্রৌপদী’ চরিত্রের জন্য অনেক দিন থেকেই তিনি দীপিকাকে ভেবে রেখেছিলেন। যেহেতু দীপিকা বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত, তাই ওই সময় আমির খান তাঁকে বিরক্ত করতে চাননি। চেয়েছেন, সবকিছু শেষ হোক, এরপর সময় নিয়ে ‘দ্রৌপদী’ চরিত্রের ব্যাপারে দীপিকার সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। কিন্তু যখনই দীপিকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব দেওয়া হলো, সরাসরি ‘না’ বলে দিলেন দীপিকা!
কেন? রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোন এখনই হানিমুনে যাচ্ছেন? এ কারণেই এত বড় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। তবে দীপিকার কাছ থেকে এই ‘না’ শুনে আমির খানের যে একটু ধাক্কা লেগেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে মুম্বাই মিররের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হওয়া লক্ষ্মী আগরওয়ালের ঘটনা নিয়ে ছবি তৈরি করছেন মেঘনা গুলজার। এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে আলোচনা করেন। সবকিছু শুনে ছবিটিতে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যান দীপিকা পাড়ুকোন। শুধু তা-ই নয়, ছবিটি প্রযোজনা করার ব্যাপারেও তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মুম্বাই মিররকে দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, ‘যখন গল্পটি শুনেছিলাম, তখন আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। অ্যাসিড–সন্ত্রাস এক ভয়ংকর সহিংসতা। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে। আর যারা এই সহিংসতার শিকার, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের মনে শক্তি ও সাহস জোগাতে হবে।’
ঘটনাটি ২০০৫ সালের। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর লক্ষ্মী আগরওয়াল অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হন। এরপর বেঁচে থাকার জন্য শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। একসময় তিনি জয়ী হন। তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কয়েকটি পর্বের একটি টিভি অনুষ্ঠানও তৈরি করেন। ২০১৬ সালে লন্ডন ফ্যাশন উইকে র্যাম্পে হেঁটেছেন তিনি। যারা এই সহিংসতার শিকার, তাদের কাছে লক্ষ্মী আগরওয়াল আজ একজন আদর্শ নারী। ২০১৪ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁকে ‘আন্তর্জাতিক নারী সাহসিক পুরস্কার’ দেওয়া হয়।