এই মুহূর্তে সালমান খান হলেন বলিউডের ‘গডফাদার’। তাঁর হাত ধরে বিটাউনে এসেছে এক ঝাঁক প্রতিভা। সম্প্রতি আরও দুই নবাগতকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। সালমান খান প্রযোজিত ‘নোটবুক’ ছবির মাধ্যমে বিটাউনে অভিষেক হয়েছে প্রনূতন আর জহির ইকবালের। তবে প্রনূতন হলেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী নূতনের নাতনি, তাঁর বাবা মনীশ বহেল। এবার জানা গেছে, মনীশ বহেলকেও সুযোগ দিয়েছিলেন সালমান খান। গতকাল শুক্রবার তাঁর প্রযোজিত ‘নোটবুক’ ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে তা-ই জানা গেছে।
মুম্বাইয়ের এক মাল্টিপ্লেক্সে ‘নোটবুক’ ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এখানে সালমান খান বলেন, ‘আমি তাদেরই কাজের সুযোগ দিই, যারা যোগ্য। যাকে–তাকে আমি সুযোগ দিই না।’ ছবির নায়িকা প্রনূতনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ও স্ক্রিন টেস্ট দিয়েছে। সেখানে পাস করেছে, তবেই সুযোগ পেয়েছে। ওকে ফিল্মে দারুণ লেগেছে। ওর সংলাপ বলার ধরন অনবদ্য।’ আর ছবির নায়কে জহির ইকবালকে নিয়ে বললেন, ‘ও নাচের স্টেপ কিছুতেই রপ্ত করতে পারছিল না। পাঁচ ঘণ্টা অনুশীলনের পর তবে তা রপ্ত করতে পেরেছে। ও খুবই পরিশ্রমী।’
বন্ধু মনীশ বহেল সম্পর্কে সালমান খান বলেন, ‘কলেজজীবনে মনীশ আর আমি একই জিমে যেতাম। মনীশ জিমে নিয়মিত ছিল না। ওর পরিবর্তে আমি জিম করতাম। আমার জিমের খরচ মনীশ ভরত। একদিন মনীশ এসে বলল, সারা দিন ও কাজ করে ক্লান্ত। দিনরাত ওকে ছুটতে হচ্ছে। তাই ওর লম্বা বিরতি চাই। পরের সপ্তাহে মনীশের ছবি “তেরে বাহো মে” মুক্তি পাবে। আর ভগবান সত্যি ওর কথা শুনলেন। আর ওর জীবনের সবচেয়ে লম্বা বিরতি দিলেন।’
সালমান খান জানালেন, ১৯৮৯ সালে ব্লকবাস্টার ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রের জন্য তিনিই মনীশের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। বললেন, ‘আমাকে প্রথম যিনি সাইন করান, তিনি রাজ বাবু (রাজকুমার বরজাতিয়া)। গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ছবিতে একটা নেগেটিভ রোল ছিল। আমি রাজ বাবুকে এই চরিত্রের জন্য মনীশের কথা বলি। কিন্তু তিনি অস্বস্তিতে ছিলেন। কারণ, মনীশ নূতনজির ছেলে। আমি নূতনজির কাছে যাই। তিনি রাজ বাবুকে রাজি করান যে মনীশ চরিত্রটা করবে।’
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনীশ বহেল। তিনি বললেন, ‘সালমান কিন্তু আমাকেও ব্রেক দিয়েছে।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া পরিচালক নীতিন কাক্কর ‘নোটবুক’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২৯ মার্চ মুক্তি পাবে।