মুঠোফোনটাই নেহার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’

২০১০ সালে ইমরান হাশমিকে সঙ্গী করে ‘ক্রুক’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে খাতা খুলেছিলেন নেহা শর্মা। তবে এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ক্যারিয়ারটা যেন ধরেও অধরা হয়ে গেল। সর্বশেষ দেখা দিয়েছেন অজয় দেবগন ও কাজল অভিনীত ‘তানহাজি’ ছবিতে। শিগগিরই একটি ওয়েব সিরিজ ও আরেকটি পাঞ্জাবি ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।

নেহা শর্মা
ইনস্টাগ্রাম

প্রস্তুতি নিয়েই বলিউডে পা রেখেছিলেন নেহা। পড়াশোনা করেছেন দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি থেকে। তারপর সুদূর ইংল্যান্ডের লন্ডনের পাইনঅ্যাপল ড্যান্স স্টুডিও থেকে শিখেছেন হিপহপ, সালসা আর জ্যাজ। ভারতীয় কথাকলির ওপর আগেই নিয়েছিলেন দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণ। তবু বলিউডের রাস্তায় হাঁটতে এসে হোঁচট খেয়ে পড়েছেন যাঁরা, তাঁদের কাতারেই পড়ে গেছেন নেহা।

নেহা শর্মা

সম্প্রতি মুঠোফোন নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে। বলেছেন, ফোন ছাড়া নাকি তাঁর চলেই না। লকডাউনে ফোনই ছিল তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। নেহা বলেন, ‘আমার প্রথম ফোন ছিল বিশাল বড়, ভারী একটা ফোন। সেটাসহ বেশ কয়েকটা ফোন হারিয়েছি আমি। যখনই বেড়াতে যেতাম, গাড়িতে-বাড়িতে ফিরে বা হঠাৎ খেয়াল করতাম, ফোন নেই। তখন তো ফোনের ওপর এত নির্ভরশীলতা ছিল না। তাই খেয়াল রাখতাম না ততটা। অথচ এই সময়ে দাঁড়িয়ে ফোনই আমার “বেস্ট ফ্রেন্ড”। ইনস্টাগ্রাম ছাড়া তো আমার চলেই না। আর আমি যে এখানে (হিন্দুস্তান টাইমসের অফিসে) এলাম, কীভাবে? গুগল ম্যাপ দেখে। এখন আমি ফোনটা চোখে চোখে রাখি। কারণ, ফোন হারিয়ে গেলে ছবির সঙ্গে নানা ব্যক্তিগত তথ্যও হারিয়ে যাবে।’

নেহা শর্মা

বলিউডে ক্যারিয়ার গড়ার ব্যর্থতা নিয়েও ‘আবেদনময়ী’ হিসেবে ভারতে নামডাক আছে তাঁর। ‘হটেস্ট ফিমেল ডেব্যু’ হিসেবে সে বছর সবার ওপরে ছিলেন তিনি। ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ‘সেক্সিয়েস্ট উইম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর তালিকায় তিনি ছিলেন ৭ নম্বরে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার জরিপে ভারতের সবচেয়ে ‘কাঙ্ক্ষিত’ নারীর খাতায় নাম তুলেছেন বেশ কয়েকবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব এই অভিনেত্রী। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিত্যনতুন ছবি শেয়ার করতে পছন্দ করেন এই অভিনেত্রী। একের পর এক নিজের ছবি দিয়ে আলোচনায় থাকেন তিনি। গেল সপ্তাহে বেশ কিছু ছবি সাড়া ফেলেছে। তুমুল ভাইরালও হয় সেসব ছবি।

নেহা শর্মা

২০০৭ সালে পুরী জগন্নাথ পরিচালিত তেলেগু ভাষার অ্যাকশন চলচ্চিত্র ‘চিরুথা’ দিয়ে নেহার অভিনয়জীবন শুরু হয়েছিল।