মাধুরী দীক্ষিত
মাধুরী দীক্ষিত

মাধুরী কখনো পুরোনো হবেন না

শনিবার ৫৪-এ পা রাখলেন মাধুরী দীক্ষিত। তাতে কী? এটা তো তাঁর কাছে নিছক একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁর হাসি, চোখের তারার ভাষা, নাচের মুদ্রা আর অভিনয়ের গুণে মুগ্ধ অগণিত ভক্ত। ৭০টির বেশি ছবিতে দেখা দিয়েছেন তিনি। বলিউডের অসংখ্য আইকনিক গান জীবন্ত হয়েছে তাঁর নাচে। ‘চিরসবুজ’ মাধুরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না, এমন দর্শক বিরল। প্রায়ই ভক্তদের মন্তব্য করতে দেখা যায়, মাধুরী কখনো পুরোনো হবেন না।কোভিড থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়েছিলেন শুটিং থেকে বিরতি। লকডাউনের দিনগুলো দিব্যি কেটেছে মাধুরীর। স্বামী আর দুই ছেলে নিয়ে ঘরেই ছিলেন। ঘরে থেকে অনলাইনে নাচ শিখিয়েছেন। সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কাজে ফিরলেন তিনি। আর সে খবর জানালেন ইনস্টাগ্রামে। ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘ব্যাক অন সেট।’ আজ মাধুরীর জন্মদিনে ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ছবিতে আবার জানি মাধুরীকে।
১৯৬৭ সালের ১৫ মে মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন মাধুরী দীক্ষিত। বাবা শংকর দীক্ষিত ও মা সঞ্চলতা।
এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাধুরী ছিলেন সবার ছোট। মুম্বাইয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মাধুরীর ছোটবেলা কেটেছে মুম্বাইতেই। তাঁর স্কুল ছিল ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুল। পরবর্তী সময়ে মুম্বাই ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবির মাধ্যমে দর্শকমহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলে দেন এই অভিনেত্রী। এই ছবি দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর নমিনেশন পান
আটের দশকের শেষভাগ থেকে নয়ের দশকের শেষ দিক পর্যন্ত বলিউড কাঁপানো এই সুন্দরীর ঝোলায় রয়েছে ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘তেজাব’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘কোয়লা’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’–এর মতো অজস্র সুপারহিট সিনেমা
খ্যাতি ও সাফল্যের শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও শুধুই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বাইরে নয়, বরং বিয়ে করে রীতিমতো আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সালটি ছিল ১৯৯৯। মার্কিন নাগরিক ও প্রবাসী ভারতীয় ডা. শ্রীরাম নেনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। বলাই বাহুল্য, মাধুরীর এই পদক্ষেপে চমকে গিয়েছিল বলিউড।
সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কাজে ফিরলেন তিনি। আর সে খবর জানালেন ইনস্টাগ্রামে। ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘ব্যাক অন সেট
‘খলনায়ক’ ছবির দৃশ্যে মাধুরী দীক্ষিত ও সঞ্জয় দত্ত
কোভিড থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়েছিলেন শুটিং থেকে বিরতি। লকডাউনের দিনগুলো দিব্যি কেটেছে মাধুরীর
তাঁর হাসি, চোখের তারার ভাষা, নাচের মুদ্রা আর অভিনয়ের গুণে মুগ্ধ অগণিত ভক্ত। ৭০টির বেশি ছবিতে দেখা দিয়েছেন তিনি। বলিউডের অসংখ্য আইকনিক গান জীবন্ত হয়েছে তাঁর নাচে। ‘চিরসবুজ’ মাধুরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না, এমন দর্শক বিরল
লকডাউনে ছুটি কাটাতে পরিবারের সঙ্গে মরলদ্বীপ ভ্রমণে গেছেন মাধুরী দীক্ষিত। সেখান থেকে একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন তিনি
নিজের এক সাক্ষাৎকারে বড় পর্দার আইকনিক গানগুলো প্রসঙ্গে মাধুরী বরেন, ‘সিনেমার গানে নাচা আর এমনিতে নাচ করা কিন্তু অনেক আলাদা। এমনিতে নাচার সময় আপনাকে দর্শক আর সীমানা মাথায় রাখতে হবে। সিনেমার গানের ক্ষেত্রে মুখের অভিব্যক্তি, ক্যামেরা আর প্রপস
ওই সাক্ষাৎকারে স্মৃতি হাতড়ে মাধুরী আরও বলেন, ‘তাম্মা তাম্মা’ গানে তো একটি শট ৪০ বারও নেওয়া হয়েছে। ‘এক দো তিন’, ‘চোলি কে পিছে’, ‘ডোলা রে’ গানগুলোর কেবল কোরিওগ্রাফ করতেই ১২ দিন করে সময় লেগেছিল। ‘চোলি কে পিছে’ গানের শুট করার সময় সেটে এত প্রপস ছিল যে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেছিলেন, ‘আমি কোন দিকে তাকিয়ে কী দেখব, তা-ই তো বুঝতে পারছি না! আমি তো আমার হিরো-হিরোইনকেই দেখতে পাচ্ছি না।’ নাচটা কিন্তু বেশ ভালো হলো। দর্শকও সাদরে গ্রহণ করলেন
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একাধিকবার তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি হিন্দি চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে মাধুরী অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত নন
স্বামী ডা. শ্রীরাম নেনে আর দুই ছেলে আরিন ও রায়ানের সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিত
তিনি বলিউডের অন্যতম সফল নায়িকা। ছবির হেয়ার স্টাইল ও সময় এখনো পুরনো দিনের কথা মনে করায় মাধুরীকে
১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবির মাধ্যমে দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দেন তিনি। এই ছবির জন্যই প্রথমবারের জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর নমিনেশনও পান তিনি। সেই শুরু
‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, এই ছবির জন্যই সালমন খান ও মাধুরী দীক্ষিতের কেরিয়ারে গতি এসেছিল। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই কালজয়ী ছবির তকমা পেয়েছিল এই সিনেমা
২০০২ সালে তিনি বলিউড থেকে বিরতি নেন বেশ কয়েক বছরের জন্য। বছর পাঁচেক পর ২০০৭ সালে বলিউডে শুরু হয় তাঁর সেকেন্ড ইনিংস। ‘আ জা নাচ লে’ ছবির মধ্যে দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন তিনি
বলিউড নায়িকাদের মধ্যে তিনি যে ধ্রুপদ নাচের ক্ষেত্রে সেরা, এই প্রশংসাপত্র দিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ নৃত্যশিল্পী স্বয়ং বিরজু মহারাজও
ছবি ও ভিডিও শেয়ারের জনপ্রিয় মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মাধুরীর অনুসরণকারীর সংখ্যা ১৪ মিলিয়নের বেশি। প্রায়ই তিনি ছবি ও ভিডিও শেয়ার দিয়ে ভক্তদের আপডেট রাখেন।