বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনের ব্যবস্থাপক কারিশমা প্রকাশকে আবারও সমন পাঠিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে মাদক-সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি এবং তারকাদের জেরা শুরু করে সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় কারিশমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
তবে এবারই প্রথম নয়। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সমন জারি করা হয়েছে তাঁর নামে। এরপর থেকেই তিনি হাওয়া। কারিশমা প্রকাশের মা মিতাক্ষরা পুরোহিত এবং কোয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের দপ্তরে সমনের চিঠি পাঠানো হয়। মাদকসম্পৃক্ততায় দীপিকা পাড়ুকোনের পাশাপাশি তাঁর ব্যবস্থাপক কারিশমা প্রকাশকে পরপর দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনসিবি। সে সময় তিনি দাবি করেন, দীপিকার সঙ্গে যে কথোপকথন হয়েছিল, সেখানে সিগারেট নিয়েই কথা হয়েছে।
দীপিকা ও কারিশমার এ রকম দাবির পর গত সপ্তাহে আবারও দীপিকার এই ব্যবস্থাপকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যেখান থেকে ১ দশমিক ৭ গ্রাম চরস ও বেশ কয়েকটি সিবিডি অয়েলের (নিষিদ্ধ মাদক) বোতল উদ্ধার করা হয়।
এরপরই কারিশমা প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় এনসিবি। আর তখন থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার তদন্তে যুক্ত হয়ে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) একের পর এক নতুন সব খবর বের করে আনছে। কেননা সুশান্তের অপমৃত্যুর তদন্তে নেমে মাদক কেলেঙ্কারির সূত্র খুঁজে পায় তারা। তদন্তের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তের প্রেমিকা বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে।
তারকাদের মাদক-সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কিনা হয়েছে সে দেশে। এমনকি অতিরিক্ত খবর প্রকাশের দায়ে বড় তারকারা মামলাও করেছিলেন কয়েকটি গণমাধ্যমের নামে। মাদকের সূত্র ধরে এনসিবি দপ্তরে ডাকা হয়েছিল তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে।
দুই দফা জেরা করা হয় তাঁকে। শুরুতে একা, পরে কারিশমা প্রকাশকে সামনে বসিয়ে। দ্বিতীয় দফায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন দীপিকা। বলেছেন, ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘এন’, ‘জে’, ‘এস’, ‘ডি’, ‘আর’, ‘কে’র মধ্যে মাদক পরিবহন নিয়েই কথা হয়েছে।
এই ‘ডি’ অক্ষরের পেছনে দীপিকারই নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আর ‘কে’-এর নাম কারিশমা। ওই চ্যাটে দীপিকা কারিশমাকে লিখেছিলেন, ‘মাল হ্যায় ক্যায়া?’ (মাল আছে?) জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকা জানিয়েছিলেন, তিনি যে ‘মাল’ চেয়েছিলেন, তা মাদক নয়। তাঁর দাবি, তিনি জীবনেও মাদক নেননি। অন্যদিকে দীপিকার ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তিনি অন্তত ছবার দীপিকাকে মাদক সরবরাহ করেছেন।