শেষ আড়াই মাসে বলিউডের চর্চিত নামগুলোর ভেতর অন্যতম রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুরহস্যের জাল থেকে তিনি যতই নিজেকে ছাড়াতে চাইছেন, ততই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছেন। এ যেন চোরাবালিতে পড়েছেন রিয়া! বিশেষ করে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তদন্তের পর থেকে রিয়াকে জড়িয়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
‘পানিতে বা চায়ে চার ফোঁটা (ড্রাগ) মিশিয়ে দিলেই হবে’জয়া শাহ, মাদক কারবারি
এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেডের (ইডি) সন্দেহ, রিয়া বলিউডের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস নাও’ রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খুঁজতে গিয়ে দেখে, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর রিয়ার বন্ধু জয়া শাহ হোয়াটসঅ্যাপে রিয়াকে লেখেন যে সুশান্তর খাওয়ার পানিতে বা চায়ে চার ফোঁটা (ড্রাগ) মিশিয়ে দিলেই হবে। রিয়া উত্তরে ধন্যবাদ জানান।
জয়া আরও লেখেন, কোনো অসুবিধা নেই। এতেই কাজে দেবে। ৩০–৪০ মিনিট পর মাতাল হয়ে পড়বে। তবে কি রিয়াই চেয়েছিলেন সুশান্ত মাদকের নেশায় আসক্ত হোক? চাইলে কেন চেয়েছেন? কী ছিল তাঁর উদ্দেশ্য? এখন হন্যে হয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছে ইডি, সিবিআই আর নতুন করে এই দলে যোগ দেওয়া মাদকদ্রব্য বিষয়ের বিশেষ তদন্ত দল। তারা রিয়ার শরীরে মাদকের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখবে। ইতিমধ্যে ইডি জয়া শাহকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
জয়া শাহ বলিউডের মাদক মাফিয়াদের একজন। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন তিনি। ফলে অনেক তারকার সঙ্গে চেনাজানা রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন বলিউড তারকাকে তিনি চাহিদা অনুসারে মাদক সরবরাহ করেন। জয়া ও রিয়া ১০০ বার ফোনে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ২৯টি কল আসে জয়ার নম্বর থেকে। আর জয়াকে ৭১ বার ফোন করেছিলেন রিয়া। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে রিয়ার প্রথম কলটি ছিল জয়া শাহকে। সুশান্তর মৃত্যুর খবর আসে বেলা ২টা ২৭ মিনিটে। এর ৬ মিনিট পর ২টা ৩৩ মিনিটে রিয়া ও জয়ার কথা হয়।
অন্যদিকে রিয়ার আরেকটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মাদকের নেশামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন সুশান্ত। সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে মাদকও চলছিল। মৃত্যুর আগেও তিনি গাঁজা সেবন করেছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন সুশান্তের পরিচারিকা নিরাজ।