কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এ শিল্পী। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সেখানেই চিকিৎসা নিতে থাকেন তিনি। চিকিৎসা নেওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে তাঁর শরীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।
এরপর বেশ কিছুদিন তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে।’
গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে লতা মঙ্গেশকরের চিকিৎসক প্রতীত সামদানি বলেন, ‘শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আইসিইউতেই আছেন এই শিল্পী। তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।’
ভারতীয় সংগীতের এ জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে। লতা মঙ্গেশকর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে। একটি মারাঠি ছবিতে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল তাঁর। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েছেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও। ২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। এর আগে ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ৯২ বছর পূর্ণ করেছেন লতা। ৯২ বছর বয়সী এ শিল্পী টুইটারের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অনুরাগীদের সঙ্গে। নানা সময়ে অন্য শিল্পীদের বিশেষ দিবসে টুইট করতেন তিনি। তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন ভক্তরা।