অল্প সময়ে বলিউডে যাঁরা ভালো অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, ভূমি পেড়নেকর তাঁদের একজন। তাঁর সিনেমাগুলোর বেশির ভাগই দর্শক আর সমালোচক, দুই মহলেই প্রশংসা কুড়িয়েছে, বক্স অফিস মাত করেছে। যেসব ছবি কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করেনি, সেগুলো ভূমির হাতে তুলে দিয়েছে বছরের সেরা অভিনেত্রীর স্মারক। ছবির জন্য গল্প ও চরিত্র বাছাই, অভিনয়, সব মিলিয়ে তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে। বলা হচ্ছে, ভূমি এ সময় বলিউডের ‘নারী আয়ুষ্মান’। যদিও এ কথা শুনে ভূমি হেসে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, আয়ুষ্মান কেন ‘পুরুষ ভূমি’ নন?
‘দম লাগা কে হাইশা’, ‘শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান’, সঞ্চিরিয়া’, ‘লাস্ট স্টোরিজ’, ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ছবিগুলোর অভিনেত্রী ভূমি ফিল্মফেয়ারের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। বড় পর্দায় শক্তিশালী নারী চরিত্র হয়ে ওঠা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে আমার বেড়ে ওঠা। সে সময় “রংলীলা”, “ডিডিএলজে”, “কুছ কুছ হোতা হ্যায়”-এর মতো বাণিজ্যিক ছবিতেও কিন্তু নারীদের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে। জয়া ভাদুরি, শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল, শ্রীদেবী, হেমা মালিনী, রেখারা দুর্দান্ত সব চরিত্র হয়ে দেখা দিয়েছেন পর্দায়। পরিবর্তনটা জরুরি ছিল। পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে হয়ে আসছিল। আমি সেই ধারাবাহিকতাই ধরে রাখছি।’
ভূমি মনে করেন, অভিনেত্রী হিসেবে তিনি কেবল হিরোর সহযোগী আর গ্ল্যামার হয়ে থাকতে চান না। তাঁর মতে, দর্শকও নারীদের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখতে চান। কেবল হিরোর প্রেমিকা হিসেবে নারীদের দেখতে দেখতে তাঁরা ক্লান্ত। ভূমি বলেন, ‘আমি বলিউডে কেবল সুন্দর চেহারা হয়ে থাকতে চাই না। বলিউডকে সমৃদ্ধ করতে চাই। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরনের ছবি থাকবে। আপনি কারিনা কাপুরকে দেখুন। তিনি “চামেলি” হয়েছেন। আবার “ফেবিকল সে”ও করেছেন। এই বৈচিত্র্যই একটা ইন্ডাস্ট্রিকে শক্তিশালী আর সমৃদ্ধ করে। তবে দর্শক আমার কাছ থেকে যে ধরনের কাজ আশা করে, তাতে আমি গর্বিত। আমার কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় আমি সম্মানিত।’
এই মুহূর্তে ভূমি ব্যস্ত ‘বাধাই দো’ সিনেমার শুটিংয়ে। সেখান থেকে সহকর্মী রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করেছেন তিনি। ছবিটি ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালের দুনিয়ায়।