ভার্চ্যুয়াল আড্ডায় যা বললেন সানিয়া

সানিয়া মালহোত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সানিয়া মালহোত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আজ শুক্রবার আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেতে চলেছে বিদ্যা বালান অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘শকুন্তলা দেবী’। ভারতের ‘মানব–কম্পিউটার’খ্যাত শকুন্তলা দেবীর জীবনের ওপর নির্মিত এই বায়োপিক। অনু মেনন পরিচালিত এই ছবিতে শকুন্তলা দেবীর মেয়ে অনুপমা ব্যানার্জির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘দঙ্গল’-কন্যা সানিয়া মালহোত্রা। আলোচিত এই ছবি মুক্তিকে সামনে রেখে ভার্চ্যুয়াল আড্ডার শুরুতেই একগাল হেসে সানিয়া জানালেন, করোনাকাল পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য মুম্বাই থেকে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে গিয়েছেন।

এই মহামারি সানিয়াকে কী শিক্ষা দিল? প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে গুরুত্ব দিতে আর ভালোবাসতে শিখেছি। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে শিখেছি। আর উপলব্ধি করেছি যে কাজের বাইরে নিজের পরিবার, নিজের বাড়ি, নিজেকে সময় দেওয়া কতটা দরকার। আমরা সবাই ইঁদুরদৌড়ে কাজের পেছনে ছুটছিলাম। এখন প্রাণ খুলে শ্বাস নিচ্ছি।’

‘শকুন্তলা দেবী’ ছবিতে সানিয়া মালহোত্রা ও বিদ্যা বালান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘দঙ্গল’, ‘পটাকা’, ‘বধাই হো’ ও ‘ফটোগ্রাফ’ ছবিতে নানা ব্যতিক্রমী চরিত্রে সানিয়া নিজেকে মেলে ধরেছেন। এবার শকুন্তলা দেবীর মেয়ে অনুপমার ভূমিকায় তিনি। জানালেন, বক্সার ‘ববিতা প্রগত’–এর চেয়ে এই ‘অনুপমা’ চরিত্রটি তাঁর কাছে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কেননা, এই ছবি পুরোপুরি বায়োপিক। তাই তাঁকে পর্দায় ঠিক ঠিক অনুপমার মতো হয়ে উঠতে হয়েছে। নিজের মতো চরিত্রকে আত্মস্থ করার সুযোগ ছিল না। অনুপমার মতো দেখতে থেকে শুরু করে অনুপমার মতোই ভাবতে হয়েছে সানিয়াকে।

সানিয়া মালহোত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘শকুন্তলা দেবী’র ট্রেলার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে হিট—বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখবার। ছবির গানগুলোও ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ‘পাস নেহি তো ফেল নেহি’ গানটি তো সবার মুখে মুখে। ভিউ ছাড়িয়ে গেছে ৪ কোটি ১০ লাখ। এই গানের রেশ টেনে সানিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে ফেল বা ব্যর্থতার মানে কী? সানিয়া বললেন ব্যর্থতার গুরুত্ব, ‘আমার জীবনে ব্যর্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জীবনের অত্যাবশ্যক অংশ। ব্যর্থতা আমাদের শিক্ষক। প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে আমরা কোনো না কোনো শিক্ষা নিই। আমার আজ যে সফলতা, তার প্রথম সোপান কিন্তু অসফলতাই ছিল।’

সানিয়া মালহোত্রা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘শকুন্তলা দেবী’ নিয়ে আলাপ, আর বিদ্যার প্রসঙ্গ উঠবে না, তা হয় না। বিদ্যার সম্পর্কে সানিয়া বললেন, ‘সত্যি, বিদ্যা দারুণ এক মানুষ। তাঁর আশপাশে থাকলে কেউ দুঃখী হতে পারে না। সেটে সব সময় তিনি মাতিয়ে রাখতেন। যীশু সেনগুপ্ত আর বিদ্যা বালান বাংলাতেই বেশি কথা বলতেন। আর আমি কিছুই বুঝতাম না।’ অনু মেনন পরিচালিত এই ছবিতে সানিয়ার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। পর্দায় তাঁদের দুর্দান্ত রসায়ন সম্পর্কে সানিয়া বলেন, ‘যীশুর সঙ্গে যে কয়েকটি দৃশ্য আছে, তা আমার জন্য খুব স্পেশাল। তিনি অত্যন্ত সাবলীল অভিনেতা। আমি যীশুর ফ্যান হয়ে গিয়েছি।’

সাক্ষাৎকার শেষে এই প্রতিবেদককে যীশু অভিনীত বাংলা সিনেমার তালিকা পাঠানোর অনুরোধও করেন সানিয়া।