এক সিনেমায় দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত তিন অভিনেতা—কমল হাসান, বিজয় সেতুপতি ও ফাহাদ ফাসিল। পরিচালকের আসনে লোকেশ কঙ্গরাজ। ‘বিক্রম’ নিয়ে আলোচনা হতে কী লাগে। বহুল প্রতীক্ষিত এই তামিল অ্যাকশন থ্রিলার ছবিটি মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয় আয়ের হিসাব–নিকাশ। বিশেষ করে চলতি বছর আরও দক্ষিণি ছবি ‘আরআরআর’ ও ‘কেজিএফ ২’ দুর্দান্ত ব্যবসা করায় ‘বিক্রম’ নিয়ে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল। ৩ জুন মুক্তির পর সেই প্রত্যাশা কড়ায়-গন্ডায় মিটিয়ে দিয়েছে ছবিটি। সেটা এতটাই যে ‘বিক্রম’ ভেঙে দিয়েছে ‘বাহুবলী ২’-এর রেকর্ডও!
এস এস রাজামৌলির সুপারহিট ছবিটিকে টপকে ‘বিক্রম’ই এখন তামিলনাড়ুর বক্স অফিসে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি। মুক্তির পর মাত্র ১৬ দিনেই দেড় শ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে ছবিটি। ১৪২ কোটি ২০ লাখ আয় নিয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল ‘বাহুবলী ২’-এর। তালিকার তিন ও চারে রয়েছে আরেক তারকা বিজয়ের দুই ছবি ‘মাস্টার’ ও ‘বিগিল’।
এখানেই ‘বিক্রম’-এর জয়যাত্রা শেষ নয়। তামিলনাড়ু তো বটেই, সারা বিশ্বেই ভালো ব্যবসা করছে ছবিটি। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৩৫০ কোটি আয়ের মাইলফলকও স্পর্শ করেছে ‘বিক্রম’। সেটাও মুক্তির ১৭তম দিনে। বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ৫০০ কোটির মাইলফলক ছোঁয়া ছবিটির জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সিনেমার এমন ব্যবসায় দারুণ খুশি কমল হাসান। ছবিটি ৩০০ কোটি মাইলফলক স্পর্শ করার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকরে তিনি বলেছিলেন, এই ছবির আয় দিয়ে তিনি নিজের সব দেনা চোকাবেন। ‘আমার সব দেনা শোধ করব। পরিবার ও বন্ধুদের জন্য যতটা পারি করব। এরপর যদি সব অর্থ শেষ হয়ে যায় তখন বলব, আর কিছু দেওয়ার নেই। আরেকজনের অর্থ নিয়ে মানুষকে সাহায্য করার ভান করতে চাই না। আমার বড় কোনো উপাধির প্রয়োজন নেই। কেবল ভালো একজন মানুষ হতে চাই’, বললেন কমল।
‘বিক্রম’ ১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়া অভিনেতার একই নামের সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত। ২০২১ সালের জুলাইতে শুরু হয়ে ছবিটির শুটিং শেষ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কারাইকুদি, চেন্নাই, পদুচেরি, কোয়াম্বাটুরসহ তামিলনাড়ুর বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং হয়েছে।