বাবার এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল: সোনাক্ষী সিনহা

শত্রুঘ্ন সিনহা ও রাহুল গান্ধী
শত্রুঘ্ন সিনহা ও রাহুল গান্ধী

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় যে ব্রিগেড আয়োজন করেন, তাতে অংশ নেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি যদিও বিজেপির সঙ্গে আছি, তবু মানুষ আর দেশের হয়েই কথা বলব। অটলবিহারী বাজপেয়ির সময় গণতন্ত্রের প্রতি নজর দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনকালে একনায়কতন্ত্র চলছে।’

প্রায় তিন দশক ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত শত্রুঘ্ন সিনহা। ২০১৪ সালে পাটনা সাহিব থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নানা বিষয়ে তাঁর মতবিরোধ হয়। মাঝেমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সমালোচনা করেছেন তিনি। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে সেই কেন্দ্র থেকে রবিশংকর প্রসাদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এরপর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তিনি। নবরাত্রির দিন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর নতুন যাত্রা শুরু হবে। বিহার কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শক্তি সিং গোহিল টুইটারে জানিয়েছেন, আগামী ৬ এপ্রিল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর জনপ্রিয়তাকে গোটা দেশে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস। তাঁকে তারকা প্রচারক হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা হচ্ছে।

সোনাক্ষী সিনহা

কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘রাহুল গান্ধী খুব উত্সাহী ও ইতিবাচক মানুষ। তিনি আমার প্রশংসা করে বলেন, আমি বিজেপিতে থেকেই বিদ্রোহ ও সমালোচনা করেছি। রাহুল আমার চেয়ে ছোট, কিন্তু আজ তিনি দেশের একজন জনপ্রিয় নেতা। আমি নেহরু-গান্ধীর পরিবারের সমর্থক। আমি মনে করি তাঁরাই দেশের নির্মাতা।’

শত্রুঘ্ন সিনহার বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাঁকে নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। এ সময় বাবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেয়ে বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা। তাঁর মতে, শত্রুঘ্ন সিনহার এই সিদ্ধান্ত নাকি অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সোনাক্ষী সিনহা। তিনি বললেন, ‘বাবা সেই জে পি নারায়ণ, অটলবিহারি বাজপেয়ি, এল কে আদভানির সময় থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে যুক্ত। দলের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে তাঁর যতটা শ্রদ্ধা প্রাপ্য, তিনি মোটেই তা পাননি। তাই আমার মনে হয়, বাবার হয়তো এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল।’