বয়সের ক্যালেন্ডারে আরও এক বছর যোগ হলো দক্ষিণ ভারতীয় তারকা শ্রুতি হাসানের। ৩৫তম জন্মদিনে শ্রুতি পেলেন তাঁর জীবনের সেরা উপহার। জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে গিয়ে দেখলেন, আর্টিস্ট প্রেমিক শান্তনু হাজারিকা একটি রোমান্টিক ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা। টুইটারে গিয়ে দেখলেন, অপেক্ষা করছে আরও বড় চমক। আর এখন পর্যন্ত সেটিই নাকি এই কলিউড তারকার (তামিল চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি) জন্মদিনের সেরা উপহার। শ্রুতির জন্মদিনে দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার প্রভাস লিখেছেন, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ো। তুমি চাইলে “সালার”–এ আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’ দীর্ঘদিন ধরে শ্রুতি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলে আসছিলেন, তিনি প্রভাসের সঙ্গে পর্দায় দেখা দিতে চান। আর জন্মদিনে সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন খোদ প্রভাস।
বলিউডের সঙ্গেও শ্রুতির সম্পর্ক খুব ভালো। অন্য অনেকের মতোও তিনি শাহরুখভক্ত। বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি বলিউডের অসংখ্য তারকা সম্পর্কে জানিয়েছেন নিজের অনুভূতি।
শাহরুখকে নিয়ে শ্রুতি বলেন, ‘তিন দশকের বেশি সময় ধরে শাহরুখ তাঁর আবেদন ধরে রেখেছেন। এই দীর্ঘ সময়ের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তেই শাহরুখকে একই রকম ভালো লাগে।
তিনি সব সময় কীভাবে এত “অ্যামেজিং” থাকেন, কে জানে! তিনি এত ব্যস্ত, গুণী, এত বড় তারকা। অথচ বাবা হিসেবে কী সাধারণ। সময় পেলেই নিজে গাড়ি চালিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে দিতে যান, নিয়ে আসেন। ওদের সঙ্গে সময় কাটান। একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তা–ই।’
এই তারকা বলেছেন, বলিউডের আরেক খান সালমান খানকে নিয়েও। শ্রুতি বলেন, ‘তাঁর কাজের গ্রাফ চমকে যাওয়ার মতো। একেকটা সময়ে তিনি নিজের একেক রকম ইমেজ গড়েছেন। নিজেকে ভেঙে নতুন করে বানিয়েছেন। ক্যারিয়ারে নানা রঙের এত বৈচিত্র্যময় সব চরিত্র খুব কম অভিনেতারই থাকে।’
অক্ষয় কুমারকে নিয়ে এই তারকা বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে তিনি ঘুমান রাত ১০টায়, ওঠেন ভোর ৪টায়। কীভাবে? শুধু যে নিজে ওঠেন, তাই না। সেটের অন্যদেরও ডেকে তোলেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সম্পর্কে শ্রুতির বক্তব্য, ‘আমার খুবই আক্ষেপ হয়। প্রিয়াঙ্কা চাইলেই গানে ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন। তাঁর সংগীত তারকা না হওয়াকে আমি ভীষণ মিস করি।’
তবে শুধু অভিনয়শিল্পীই নয়, সংগীতশিল্পীদের নিয়েও শ্রুতি হাসান মন্তব্য করেছেন। তিনি শ্রেয়া ঘোষাল সম্পর্কে বলেন, ‘শ্রেয়া আমার প্রিয়, শিল্পী হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে। তিনি খুবই ডিসিপ্লিনড। তাঁর সংযম, শৃঙ্খলা আর বিনয় তাকিয়ে থাকার মতো। তিনি যেভাবে নিজের গলার যত্ন নেন, আমরা যাঁরা গান করি বা করার চেষ্টা করি, আমাদের সবারই তাঁকে পড়া উচিত, শেখা উচিত।’