করোনার কারণে থমকে যেতে চলেছে বিনোদন দুনিয়া। ভারতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটিং বন্ধ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (ইমপা) এবং প্রডিউসারস গিল্ড অব ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্ত এটি। সিনেমা, টেলিভিশন এবং ওয়েব সিরিজের শুটিং বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা ক্রু মেম্বারদের রুটি–রুজিতে আঘাত পড়েছে।
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে শত শত স্পটবয়, লাইট অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেট ওয়ার্কার কাজ করেন। তাঁরা দিন আনেন, দিন খান। তাঁরা সিনেমা নির্মাণ কিংবা টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান নির্মাণে দৈনিক আট ঘণ্টা শিফটে কাজ করে থাকেন। এক দিন শুটিং বন্ধ মানে তাঁদের দিনের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া।
রোববার ইমপার শুটিং বন্ধের চিঠি বেরোয়। সেখানে বলা হয়, ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটিং বন্ধ থাকবে। এই বিজ্ঞপ্তি দেখার পর নির্মাতা সুধীর মিশ্র পরামর্শ দেন, ইন্ডাস্ট্রির উচিত একটি তহবিল গঠন করা। অনুভব সিনহা, হানসাল মেহতা, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে এবং অনুরাগ কাশ্যপের মতো নির্মাতারাও এই ভাবনার সঙ্গে একমত হন।
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিতের কাছ থেকেও আসে পরামর্শ। তিনি ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের অ্যাকাউন্টে অনুদান দেওয়ার কথা বলেন, যা দিয়ে কর্মীরা তাঁদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করবেন। করোনার দিনগুলাতে বেঁচেবর্তে থাকতে পারবেন।
সুধীর মিশ্র পরামর্শ দেন, যে কর্মীদের সঙ্গে যে নির্মাতারা শেষ কাজ করেছেন, তাঁরা যেন ইউনিট মেম্বারদের দায়িত্ব নেন।
করোনার কারণে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কোটি কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছে। তবে তহবিল তৈরির সিদ্ধান্তে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে ভঙ্গুর অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। করোনার কারণে ইতিমধ্যে শুটিং বন্ধ হয়েছে বড় বড় প্রডাকশন হাউসের। ধর্মা প্রডাকশনের নাম রাখা যায় এই তালিকায়। মুক্তির তারিখ পিছিয়ে গেছে অনেক ছবির। পুরো ইন্ডাস্ট্রি স্থবির হয়ে গেছে।