২০০ কোটি রুপির প্রতারণা মামলার আইনি মারপ্যাঁচে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদ্যাপন করতে দেশের বাইরে যেতে চেয়েছিলেন এই বলিউড তারকা। কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক আইনকানুন প্রয়োগ ও আর্থিক অপরাধ দমনসংক্রান্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে অনুমতি দেয়নি।
প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে ইডি। আর এই মামলার সঙ্গে জ্যাকুলিনের নাম জড়িয়ে গেছে। এই বলিউড নায়িকা ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজের কারণে ইডির কাছে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু ইডির পক্ষ থেকে জ্যাকুলিনকে সরাসরি ‘না’ করে দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার এখনো তদন্ত চলছে। আর ইডির পক্ষ থেকে এই বলিউড নায়িকাকে এখনো ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি। আর তাই ক্রিসমাস উদ্যাপন করতে তিনি বিদেশে তাঁর পরিবারের কাছে যেতে পারলেন না। এদিকে এই মামলার কারণে জ্যাকুলিনের পেশাগত দিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশে ছবির শুটিংসহ আরও নানান কাজ তাঁকে স্থগিত রাখতে হয়েছে। কিছুদিন আগে এই মামলার কারণে তিনি সালমান খানের সঙ্গে ‘দাবাং’ ট্যুরে যেতে পারেননি।
ইডির কর্মকর্তাদের জ্যাকুলিন বয়ান দিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ শুরু হয়। এই বলিউড নায়িকার বক্তব্য, তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরিবারের একজন বলে সুকেশ নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন।
জ্যাকুলিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছেন, ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আমার চেনাজানা শুরু হয়। ২০২১ সালে ওকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর থেকে ওর সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। জয়ললিতার পরিবারের সদস্য ছাড়া ও নিজেকে সান টেলিভিশন সংস্থার মালিক বলে পরিচয় দিয়েছিল।’
সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকুলিনকে প্রায় ১০ কোটি রুপির উপহার দিয়েছিলেন। এমনকি এই বলিউড নায়িকার পরিবারকে নানান উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রতারক।
পার্শিয়ান বিড়াল, ঘোড়া, গাড়ি, অলংকার থেকে আরও নানান কিছু আছে এই উপহারের তালিকায়। ইডি এখন সুকেশের দেওয়া এসব উপহার বাজেয়াপ্ত করার আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত আছে। তাই জ্যাকুলিন ক্রমেই এই প্রতারণার মামলার জালে জড়িয়ে পড়ছেন।
জ্যাকুলিন ছাড়া নোরা ফতেহি, শ্রদ্ধা কাপুর, শিল্পা শেঠি, হরমন বাওয়েজার সঙ্গে সুকেশের সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়েছে। তাই কেঁচো খুঁড়তে আর কত কেউটে বের হয়, তা সময়ই বলবে।