আবার এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে চলেছেন বিদ্যা বালান। ‘শেরনি’তে তিনি সৎ আর দাপুটে এক বন কর্মকর্তা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছবিতেও তাঁর চরিত্রটির নাম বিদ্যা, তবে বালান নয়, ভিনসেন্ট। পর্দায় ‘শেরনি’ হয়ে ওঠার জন্য তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।
‘কিছু করার জন্য আমাদের পুরুষদের মতো হতে হবে, তা জরুরি নয়। বরং একজন নারীরূপেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।’বিদ্যা বালান
‘শেরনি’ ছবির এক ভার্চ্যুয়াল প্রচারণা অনুষ্ঠানে এই ছবি ঘিরে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক দীর্ঘ প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে গেছেন বিদ্যা। নিজের এই প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তবে বেশ কিছু বন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে সময় কাটিয়েছি। তাঁদের সঙ্গে থেকে দেখতে চেয়েছি, এই ধরনের চাকরির সব দায়দায়িত্ব কীভাবে পালন করা হয়।’
বিদ্যা আরও বলেছেন, ‘বন কর্মকর্তা হওয়ার জন্য রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। অনেক সময় তা কঠিন ছিল। আর এই ধরনের চাকরিতে শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা সব সময় থেকে যায়। বন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পোস্টিংয়ের সময় অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সাধারণত এ ধরনের কাজ পুরুষেরাই বেশি করেন। কিন্তু এসব নারী কর্মকর্তা মানসিকভাবে পুরুষদের সমান।’ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু করার জন্য আমাদের পুরুষদের মতো হতে হবে, তা জরুরি নয়। বরং একজন নারীরূপেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।’ বিদ্যা ভিনসেন্টের চারিত্রিক কিছু গুণও বিদ্যাকে খুব প্রভাবিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘পর্দায় বিদ্যা শুধু শারীরিকভাবে নারী। ও যাতে বিশ্বাস করে, তার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়ানোর সাহস রাখে। আর এ জন্য আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন নেই। পুরুষের দুনিয়ায় পুরুষ হওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি একজন নারী হিসেবে সমাজে বাঁচুন। নিজের পথ নিজেই খুঁজে পাবেন।’
‘নিউটন’খ্যাত পরিচালক অমিত মাসুরকর পরিচালিত ‘শেরনি’তে বিদ্যা ছাড়াও আছেন বিজয়রাজ, নীরজ কাবি, মুকুল চাড্ডা, শরৎ সাক্সেনা, ইলা অরুণসহ আরও অনেকে। ছবিটি ১৮ জুন ওটিটিতে মুক্তি পেতে চলেছে।