বলিউডে শীর্ষ নায়িকাদের একজন দীপিকা পাড়ুকোন। কিছুদিন আগেই শেষ করেছেন ছপাক সিনেমার কাজ। এখন ব্যস্ত ৮৩ সিনেমা নিয়ে। ছপাক ছবিতে তিনি করেছেন লক্ষ্মী আগারওয়ালের চরিত্র। আর ৮৩–তে কপিল দেবের স্ত্রী রোমি দেব। একটি চরিত্র শেষ করেই আরেক চরিত্রে কাজ করতে দীপিকা হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪৮ ঘণ্টা!
ছপাক–এর শুটিং শেষ হওয়ার দুই দিন পরেই দীপিকা শুটিং শুরু করেন ৮৩ ছবিতে। মাত্র দুই দিনেই কী করে তিনি আরেকটি চরিত্রে রূপদান করেন, বিস্ময় বলিউডে। এত দ্রুত চরিত্র বদল করার সূত্র কী? দীপিকা তা–ও অবশ্য জানিয়ে দিলেন। ছপাক দীপিকার খুবই আবেগের একটি সিনেমা। অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার ভারতীয় নারী লক্ষ্মী আগারওয়ালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেখানে। তাতে কম কসরত করতে হয়নি। কারণ, প্রসথেটিক মেকআপ করে অ্যাসিডদগ্ধ চেহারা তৈরি করতে হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, এই মেকআপ নিয়ে এক্সপ্রেশন দেওয়াটাও ছিল কঠিন। এক সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন ডিপি। তবু অভিনয়ে তিনি পরিশ্রমী ও পাকা। তা প্রমাণ করেছেন বারবার। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। ছপাক–এর পরিচালক মেঘনা গুলজার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁর। তবে সবচেয়ে অবাক করে দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে।
ছপাক ছবির শেষ শুটিং ছিল মুম্বাইয়ে। শুটিংয়ের দুই দিন পরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিজয় নিয়ে ছবি ৮৩–এর শুটিং যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে। মুম্বাইয়ে শুটিং শেষ করেই উড়াল দিয়েছেন সেথায়। শুটিংও শুরু করেন। দুই ছবির চরিত্র দুটি একদমই আলাদা। কিন্তু কীভাবে এটাকে সামাল দিলেন দীপিকা? তাঁর উত্তর ছিল, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, কোনো চরিত্রই একদম শেষ হয়ে যায় না। তাই একটি চরিত্র থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি চরিত্র ধরার মাঝের সময়ে আমি নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। এই সময়ে ঘরদোর পরিষ্কার করি। ঘর গোছাই। নিজেকে সাবলীল রাখার চেষ্টা করি, যাতে লক্ষ্মী থেকে রোমি দেব চরিত্রে রূপান্তরিত হতে পারি। এ কাজগুলো আমাকে চাপ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।’
ছবিতে কপিল দেবের চরিত্রে দেখা যাবে স্বামী রণবীর সিংকে। বিয়ের পরে এটাই তাঁদের জুটি হয়ে করা প্রথম ছবি। এর আগে রামলীলা, বাজিরাও মাস্তানি ও পদ্মাবত সিনেমাগুলো করেছেন একসঙ্গে। ডিএনএ