তৈমুরের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গোল্লুগাল্লু একটা কিউট শিশুর চেহারা। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই যে কিনা সেলিব্রিটি বনে গেছে! এখনো দুই বছর হয়নি খুদে নবাবের। কিন্তু তাতে কী! ইতিমধ্যে তার হাজারো ভক্ত জুটে গেছে। তারা তৈমুরের সবকিছুতেই উৎসুক দৃষ্টি রাখছে।
বলিউড সেলবদের শিশুদের শীর্ষ তালিকা তৈরি করলে দেখা যাবে, প্রথমেই রয়েছে তৈমুর আলী খান। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বলিউড তারকা মা কারিনা কাপুর আর বাবা সাইফ আলী খান যেখানেই যান, ছেলের সম্পর্কে কিছু না কিছু জানতে চায় সবাই। বিশেষ করে তৈমুর দেখতে কার মতো—এ নিয়ে নির্ঘাত একটা প্রশ্ন থাকেই।
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তৈমুর দেখতে তার বাবা সাইফের মতো—এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন কারিনা। আর সাইফ একটু রসিকতা করে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘তৈমুর কারিনার চায়নিজ ও মঙ্গোলীয় ভার্সন।’
ছোটা নবাব যতই বড় হচ্ছে, তার পিছু পাপারাজ্জিদের আঠার মতো লেগে থাকার প্রবণতা ততই বাড়ছে। নিত্যনতুন ছবি ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর এসব ছবি নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা।
তৈমুর দেখতে ঠিক কার মতো হয়েছে? কেউ বলছে, মা কারিনা কাপুরের মতো। আবার কেউবা বলছে, নাহ্, বাবা সাইফ আলী খানের মতো।
এই তো গতকাল বুধবারই মুম্বাইয়ের তারকা ফটোগ্রাফার নেহা ব্র্যাকস্টোনের ক্যামেরাবন্দী করা তৈমুরের সাদাকালো একটি ছবি ভাইরাল হয়। এরপরই শুরু হয় ছবির খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ।
নতুন ছবির আলোকে অনেকেই একমত, তৈমুর পতৌদি খানদানের নয়, বরং পেয়েছেন কাপুর খানদানের আদল। সত্তরের দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা নানা রণধীর কাপুরের সঙ্গেই নাকি চেহারার মিল তৈমুরের!
মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায়। ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোও বসে থাকতে পারেনি। তারাও খবরটি লুফে নেয়। বেশ ফলাও করেই এই খুদে সেলিব্রিটির চেহারাসংক্রান্ত খবর প্রচার করা হচ্ছে।
সবে তো শুরু। তৈমুরের পরিপক্ব হতে আরও বহুদিন বাকি। এই সময়ে তৈমুরের চেহারা নিয়ে আরও কত-কী যে শুনতে হবে, তার কিছুটা এখনই আন্দাজ করা যাচ্ছে।