আজ বুধবার সকালে হুট করেই আয়কর বিভাগের লোকেরা ঢুকে পড়েছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর বাড়িতে। শুধু তাপসী নয়, পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছেন তাঁরা।
হঠাৎ করে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা কেন গিয়ে ঢুকলেন এই তারকাদের বাড়িতে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লিখিত দুই তারকা ছাড়াও ভারত সরকারের এই প্রতিষ্ঠান অভিযান চালিয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক বিকাশ বহেল এবং প্রযোজনা সংস্থা ফ্যান্টম ফিল্মসের অফিসেও। জানা গেছে, অনুরাগ কশ্যপের প্রযোজনা সংস্থা ফ্যান্টম ফিল্মস–সংক্রান্ত আর্থিক মামলার কারণে এই অভিযান। ভারতের মুম্বাই ও পুনে মিলিয়ে মোট ২০টি জায়গায় এভাবে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই তারকাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ আর ফ্যান্টম ফিল্মসের মালিকদের একজন মধু মন্টেনার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। অনেকে ইঙ্গিত করেছেন, সম্প্রতি মোদি সরকারের বিরোধিতায় বেশ সরব ছিলেন অভিনেত্রী তাপসী পান্নু ও নির্মাতা অনুরাগ কশ্যপ। এটাও হতে পারে এই তল্লাশির কারণ।
শোনা যায়, সম্প্রতি ধর্ষণ–সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেছেন তাপসী পান্নু। ধর্ষণে অভিযুক্তকে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে প্রশ্ন করা হয়, ‘তিনি যাঁকে ধর্ষণ করেছেন, তাঁকে বিয়ে করতে রাজি কি না।’ এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, ধর্ষণের শিকার নারীকে বিয়ে করলেই কি ধর্ষক ক্ষমা পেয়ে যাবে? এ প্রসঙ্গেই তাপসী বলেছিলেন, ‘কেউ কি মেয়েটিকে প্রশ্ন করেছে যে সে আদৌ নিজের ধর্ষককে বিয়ে করতে চান কি না? এটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে? এটা সমাধান, নাকি শাস্তি?’
পান্নুর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী সোনা মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, ‘যথেষ্ট বিরক্তিকর একটা পর্যবেক্ষণ। বলিউডের সিনেমায় দেখা গেছে, একজন ধর্ষক নিগৃহীতাকে বিয়ে করছেন। দেশের সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে এই শর্ত দিতে পারে?’
তাপসীদের বাড়িতে আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালাতে যাওয়ায় আবারও তিনি উঠে আসেন আলোচনায়। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কশ্যপ বা তাপসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। এ ছাড়া কৃষি আইন নিয়েও বেশ সরব ছিলেন তাপসী। আর অনুরাগ কশ্যপ তো গোড়া থেকেই মোদি সরকারের কড়া সমালোচক। তাপসী ও অনুরাগকে শিগগিরই দেখা যাবে ‘দোবারা’ ছবিতে।