ফুংসুখ ওয়াংড়ুর কথা মনে আছে? হ্যাঁ, ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির ‘র্যাঞ্চোরদাস শ্যামলদাস চ্যাঞ্চোড়’। বলিউডের আমির খান যে চরিত্রটিকে করে তুলেছিলেন দারুণ জনপ্রিয়। চরিত্রটি কিন্তু কাহিনিকারের মাথায় আকাশ থেকে আসেনি। ফুংসুখ ওয়াংড়ু চরিত্রটি লেখা হয়েছিল সোনম ওয়াংচুক নামের এক শিক্ষা সংস্কারকের জীবন থেকে। তিনি এখন ঢাকায়।
সোনম ওয়াংচুকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাব্যবস্থার আন্দোলনের নাম ‘স্টুডেন্টস এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অব লাদাখ’ (এসইসিএমওএল)। ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমাটি মূলত সোনমের ওয়াংচুকের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো। তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলে ভর্তি হতে হলে অবশ্যই মাধ্যমিকে ফেল করতে হবে। সোনমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে তাই অনেকেই বলেন ‘ইউনিভার্সিটি অব ফেইলরস’। তিন-চারবারের ‘ফেলটুস’ সেই ছাত্রদের অনেকেই আজ বিশ্বসেরা সাংবাদিক, নির্মাতা ও স্বনামধন্য উদ্যোক্তা। স্কুলের বাইরে আবহাওয়া যখন মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্কুলের ভেতরের তাপমাত্রা তখন প্লাস ১৫ ডিগ্রি। বন্যা হলে এই স্কুলের কোনো অসুবিধা হয় না। দিব্যি সেটা পানিতে ভেসে ওঠে। গ্রীষ্মে লাদাখের মতো বিরান অঞ্চল হয়ে ওঠে ধু-ধু মরুভূমি, পানির দেখা পাওয়াই যায় না। কিন্তু এই প্রকৌশলী পানিকে সহজলভ্য করেছেন সেখানে। সাধারণ পাইপ দিয়ে এমন একটি ‘আইস স্টুপা’ বানিয়েছেন, যা দিয়ে ‘গ্রিনহাউস ইফেক্ট’ দূর করা যায় সহজেই।
সোনম ওয়াংচুককে পাওয়া যাবে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার চতুর্থ তলায়। পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত ঢাকা আর্ট সামিটের প্রথম দিনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ বিষয়ের ওপর বক্তৃতা দেবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন আগা খান পুরস্কারজয়ী স্থপতি সাইফুল হক, স্থাপত্যকলা তাত্ত্বিক হুরারিয়া জাবিন ও স্থপতি নীনা পেইম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন নকশাকার প্রেম কৃষ্ণমূর্তি।