টাকার জন্য মিথ্যা বলেছিলেন কিশোর কুমারের ছেলে

অমিত কুমার। ছবি: সংগৃহীত
অমিত কুমার। ছবি: সংগৃহীত

করতালি, হাসি–কান্না—কত কিছুই না দেখা যায় রিয়েলিটি শোগুলোতে। বাংলাদেশ, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে তৈরি হওয়া আবেগঘন সব মুহূর্ত কতটা সত্য থাকে? এসবের কতটা সাজানো, তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। সেই বিতর্ক নতুন করে উঠে এসেছে কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমারের মন্তব্যে। ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-এর একটি পর্ব প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রশ্ন।

বাবা প্রয়াত কিশোর কুমার ও ছেলে অমিত কুমারে

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডল ১২-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন অমিত কুমার। রিয়েলিটি শোর মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি। সেই পর্বে কিশোর কুমারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর গান গেয়েছিলেন প্রতিযোগীরা। বিচারক নেহা কক্কর ও হিমেশ রেশামিয়ার কণ্ঠেও শোনা যায় প্রয়াত এই শিল্পীর গান। বিপত্তি ঘটে সেখানেই। দর্শকদের একাংশের দাবি, ভালো গাইতে পারেননি নেহা বা হিমেশ। প্রতিযোগীদের গান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। দর্শকদের একটি বড় অংশের দাবি, কিশোর কুমারকে যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে টিম ইন্ডিয়ান আইডল।

অমিত কুমার, নেহা কক্কর, হিমেশ, ইনসেটে কিশোর কুমার

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার বলেছেন, তাঁকে বলা হয়েছিল সব প্রতিযোগীর প্রশংসা করতে হবে। কারণ, তাঁরা প্রত্যেকেই কিশোর কুমারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গান করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সেটাই করেছি, যা আমাকে করতে বলা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘কেউই কিশোর কুমারের মতো গাইতে পারবে না। আজকাল ছেলেমেয়েরা শুধু তাঁর “রূপ তেরা মাস্তানা” জানে। আমাকে সবার প্রশংসা করতে বলা হয়েছিল, আমি সেটাই করেছি। আমি অনুষ্ঠানে আমার অংশের স্ক্রিপ্টটা চেয়েছিলাম। তারা দেয়নি।’

মঞ্চে অমিত কুমার

শুধু সম্মানীর অর্থের জন্যই ওই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির আসনে বসেছিলেন অমিত। কেন ইন্ডিয়ান আইডলে গিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে অকপটেই এই শিল্পী জানান, ‘টাকা আমারও দরকার। আমার বাবাও এ ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। যে অঙ্ক আমি চেয়েছি, তারা আমাকে সেই পরিমাণ টাকাই দিয়েছে। সে কারণেই অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আমি কেন এই সুযোগ ছাড়ব?’ এত বিতর্কের পরও অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী ও বিচারকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই অমিতের। তবে তিনি চান, পরে তাঁর বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু করা হলে, তা যেন ভালোভাবে করা হয়। তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের প্রতি, বিচারকদের প্রতি ও প্রতিযোগীদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। এ রকম ঘটনা তো ঘটেই।’ তবে অনুষ্ঠানের ওই পর্বটি প্রচারের পর স্বজনদের কাছেও জবাবদিহি করতে হয়েছে অমিতকে।

কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী ছিলেন রুমা গুহ ঠাকুরতা। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৮, এ আট বছর স্থায়ী হয়েছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ১৯৫২ সালের ৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন অমিত কুমার। অমিত কুমার একাধারে একজন গায়ক, অভিনেতা এবং সংগীত পরিচালক।