ঝাল না খেলে কেমন কাপুর

জাহ্নবী কাপুর খেতে ভালোবাসেন। বন্ধুদের আবদার, তাঁকে একবার যেতে হবে রসুইঘরে। আর রান্না করে খাওয়াতে হবে তাঁদের। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব?

সুযোগ করে দিল ডিসকভারি প্লাসের ‘স্টার ভার্সেস ফুড’। মুম্বাইয়ের জুহুর জে ডব্লিউ ম্যারিয়টের রান্নাঘরে ছুরি, কড়াই হাতে নেমে পড়লেন জাহ্নবী। তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন ম্যারিয়টের এক্সিকিউটিভ শেফ অভিষেক বসু।

জাহ্নবী কাপুর খেতে ভালোবাসেন

কী রান্না করা যায়? জাহ্নবী বন্ধুদের জন্য রান্না করতে চান কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার। অভিষেক বসু তাঁর কোরিয়ান বন্ধু অ্যালেক্সের কাছ থেকে জেনে নেন কোন দুটি খাবার রান্না করা সহজ আর স্বাদে হবে অনন্য। অ্যালেক্স বাতলে দিলেন বিবিম্বাপ ও হেমুল পাজং। শুরু হলো জাহ্নবীর রান্না।

মায়ের সঙ্গে জাহ্নবী

বাঁধাকপি ও গাজর কাটা, চাল ধোয়া—সবই পাকা রাঁধুনির মতো করতে থাকেন ধড়ক অভিনেত্রী। ছিল সামুদ্রিক মাছ কোটার কাজও। এবারে ভড়কে গেলেও সামলে নেন শ্রীদেবীকন্যা। তারপর জ্বাললেন চুলা, সঙ্গে চলল আড্ডা। কড়াই তুলতে গিয়ে ভয় পেয়ে গেলেন। এত ওজন কেন! আগুনের তাপ কি ঝলসে দেবে চোখমুখ, শঙ্কিত ছিলেন অভিনেত্রী। তবু রান্না তাঁকে করতেই হবে। কারণ, বন্ধুরা কেবলই বলেন, জাহ্নবী শুধু খান আর খান। রান্না ঘরে যান না। তাই একবার বিবিম্বাপ বানিয়ে সারা জীবন বলা যাবে, ‘কোরিয়ান খাবার রেঁধে খাইয়েছি তোদের।’

জাহ্নবী কাপুর খেতে ভালোবাসেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার

আড্ডায় জাহ্নবী জানান, তাঁর পছন্দ দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। কাপুর পরিবার নিয়েও নানা কথা বলেন তিনি। জাহ্নবী জানান, কাপুর পরিবার মানেই নাকি ঝাঁজালো এক ব্যাপার। ঝাল না খেলে তিনি কেমন কাপুর! এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের বাসায় যদি ঝাল কিছু না খান, তবে আপনি কাপুরের মধ্যেই পড়বেন না। আপনাকে লজ্জা পেতে হবে। এমনকি বসতে হবে আরেক টেবিলে।’ অভিষেক বলেন, ‘এমা, তাই নাকি?’ জাহ্নবী বলেন, ‘অতটা নয়, তবে সবাই আপনাকে নিয়ে মজা করতে ছাড়বে না।’

বনি কাপুর বলিউডের নামকরা প্রযোজক। মেয়ে জাহ্নবী কাপুরের পছন্দ অভিনয়।

রান্নার এ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় মৌসুমের প্রথম পর্বে হাজির হয়েছিলেন জাহ্নবী। দ্বিতীয় মৌসুমে সেখানে রাঁধতে দেখা যাবে অনন্যা পান্ডে, অনিল কাপুর, বাদশা, নোরা ফাতেহি ও জাকির খানকে। প্রথম মৌসুমে এসেছিলেন কারিনা কাপুর, করণ জোহর, মালাইকা অরোরা, অর্জুন কাপুর ও প্রতীক গান্ধী।