প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে ভারতের অর্থনৈতিক আইনকানুন প্রয়োগ ও আর্থিক অপরাধ দমনসংক্রান্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর এই মামলার সঙ্গে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম জড়িয়ে গেছে। প্রতারণা মামলার আইনি মারপ্যাঁচে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ।
শুরু থেকেই জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ আর সুকেশ চন্দ্রশেখরের মধ্যে যোগাযোগ সামনে এসেছে। এবার আরও আইনি ঝামেলা বাড়ল সালমানের নায়িকার। তাঁর বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। জানা গেছে যে প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি অভিনেত্রীর মাত কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ইডি জ্যাকুলিনের ৭ দশমিক ২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে ৭ দশমিক ১২ কোটি টাকা হলো এফডি। ইডির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সুকেশ প্রতারণার টাকা থেকে জ্যাকুলিনকে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। জ্যাকুলিনকে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার মার্কিন ডলার ও ২৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়েছিলেন এই প্রতারক। পার্সিয়ান বিড়াল, ঘোড়া, গাড়ি, অলংকার থেকে শুরু করে আরও নানান কিছু আছে এই উপহারের তালিকায়।
এর আগেও জ্যাকুলিনকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। তিনিই ইডিকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি চেনেন সুকেশকে। এই প্রতারক তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি জয়ললিতার পরিবারের সদস্য। শুধু তা-ই নয়, ২০২০ সালে তিনি নিজেকে সান টিভির মালিক বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন। চার্টার্ড প্লেনে চেপে জ্যাকুলিন সুকেশের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন বলেও খবর। এমনকি জ্যাকুলিন আর সুকেশের কিছু অন্তরঙ্গ ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
সুকেশ এই ব্যাপারে অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘আমি এর আগেই জানিয়েছি আমার আর জ্যাকুলিনের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। তবে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, সব জায়গায় যে আর্থিক চাহিদার জন্য এই সম্পর্ক, তা ঠিক নয়। খারাপ আলোয় দেখানো হচ্ছে এই সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্কে অনেক ভালোবাসা ছিল, সম্মান ছিল কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই।’
জ্যাকুলিন ছাড়া নোরা ফতেহি, শ্রদ্ধা কাপুর, শিল্পা শেঠি, হরমন বাওয়েজার সঙ্গে সুকেশের সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়েছে। তাই কেঁচো খুঁড়তে আর কত কেউটে বের হয়, তা সময়ই বলবে।