ইনস্টাগ্রামে হিনা খানের ‘অনুসারী’র সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১ কোটি ১৮ লাখ। ভারতের ছোট পর্দা থেকে এসে বেশ কিছু ইতিহাস গড়েছেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ আট বছর দর্শকের কাছে তিনি ছিলেন ছোট পর্দার ‘ভালো বউ’, ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’–এর আকশারা। তখন থেকে ফ্যাশন আইকন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সহজ ছিল না। তারপর হেঁটেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায়। এ বছর ভারতের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে এক যুগ পূর্ণ করলেন হিনা। দীর্ঘ ১২ বছরের পথচলা শেষে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার তো সবে শুরু।’
২০০৯ সালের জানুয়ারির এক শীতের সকালের কথা। হিনা খানের বয়স তখন সবে ২১ বছর। দিল্লির সিসিএ স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ ফাইনাল পরীক্ষা দিলেন। এমনিতেই ‘মজা করে’ ছুটলেন মেগা সিরিয়ালের অডিশন দিতে। সেখান থেকেই আজ তিনি সফলতার পাখায় উড়ে চলছেন আকাশ ছুঁতে। ভারতের ছোট পর্দার সবচেয়ে সফল অভিনেত্রীদের একজন ৩৩ বছরের হিনা খান। যদিও তা মানতে নারাজ হিনা। বললেন, ‘আমি সফল নই। আমার মাত্র শুরু হলো। সবে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পা দিলাম। এবার আমি ডানা মেলে উড়ব।’
সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বড় কিছু নয়, বরং ছোট ছোট সিদ্ধান্ত, ছোট ছোট পরিবর্তন খুবই জরুরি বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। ২০২০ সালে ‘হ্যাকড’ ছবি দিয়ে তিনি পা রেখেছেন বলিউডের বড় পর্দায়। এই মুহূর্তে একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মের ছবি ‘আনলক’–এ অভিনয় করছেন। সফলতার রহস্য জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মনে করি, ছোট ছোট সিদ্ধান্ত জীবনের পথচলায় খুবই গুরুত্ব রাখে। বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। একদিন হুট করে অডিশন দিতে গেলাম। সেটা খুব ছোট একটা সিদ্ধান্ত ছিল। সেখান থেকে আমেরিকান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার হাতে তুলেছি। “টাইপকাস্ট” ভেঙে ফ্যাশন আইকন হিসেবে নিজের ইমেজ গড়েছি। আমার পুরো যাত্রা নিয়ে আমি গর্বিত।’
হিনা খান অংশ নিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল’–এ। সেখানে সেরা ৩০ থেকে বাদ পড়েন তিনি। তারপর দেখা দিয়েছেন ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’–এর অষ্টম মৌসুমে। সেখানে প্রথম রানারআপ ছিলেন তিনি। ‘বিগ বস’–এর ১১তম আসরে অংশ নিয়েছেন। ১৪তম আসরেও দেখা গেছে তাঁকে। অভিনয় করেছেন ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’ আর ‘নাগিন ফাইভ’–এ। এভাবে একটু একটু করে তিনি হয়েছেন আজকের হিনা খান।