মানুষটাকে চিনতে পারছেন? চট করে চেনাও কঠিন। তবে নাম বললে ঠিকই চিনবেন। ছবিটির মালিক ৫ জুলাই ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের এ ছবিটি শেয়ার করেছেন।
অবশ্য তাঁর নামটি মানুষ যত না চেনেন-জানেন, তার চেয়ে বেশি চেনেন তাঁর কণ্ঠ। অন্য রকম আওয়াজ।আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে কেটেছে তাঁর শৈশব। প্রতিবেশীর রেডিও থেকে গান শুনে সংগীতের প্রতি ভালোবাসা।
মাত্র ১০০ রুপির বিনিময়ে সারা সন্ধ্যা নাইট ক্লাবে গাওয়া এই শিল্পীই আশি ও নব্বইয়ের দশকে শাসন করেছেন বলিউডের গানের ভুবন।
শুরুতে ঠিকমতো হিন্দিও বলতে পারতেন না, তারপরও একের পর এক জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর হিন্দি গান।৩৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। দেড় হাজার ছবিতে তাঁর গান আছে। গেয়েছেন ২৫ হাজারের ওপর গান। পাঁচবার পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণও মিলেছে। বিবিসির সেরা ৪০ বলিউডের গানের মধ্যে ২১টিই তাঁর গান।তিনি উদিত নারায়ণ। তাঁর কণ্ঠে ‘পহেলা নেশা’, ‘অ্যা মেরা হামসফর’, ‘জাদু তেরে নজর’ কিংবা ‘তেরে নাম’-এর জাদুতে মুগ্ধ ভারতের কয়েক প্রজন্ম।
বিজ্ঞাপন
উপমহাদেশের জনপ্রিয় এই গায়কের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর। তাঁর বাবা হরেকৃষ্ণ ঝাঁ ছিলেন কৃষক। মা ভুবনেশ্বরী ঝাঁ লোকগান গাইতেন। মায়ের কাছ থেকেই শৈশবে গানের প্রথম পাঠ। ১৯৮০ সালে ‘উনিশ-বিশ’ ছবিতে গাওয়ার সুযোগ দিয়ে উদিত নারায়ণকে বলিউডে জায়গা করে দেন সংগীত পরিচালক রাজেশ রোশন। ওই বছর ৫ জুন তাঁর প্রথম বলিউড গানটি রেকর্ড হয়। ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিতে উদিত নারায়ণকে সুযোগ দেন আনন্দ মিলিন্দ। উদিতের কণ্ঠে ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ শুনে সাড়া পড়ে যায়। ১৯৯৩ সালে সুপারহিট হয় ‘পহেলা নেশা’। বলা যায়, এ গান দিয়েই উদিতের প্রকৃত জয়যাত্রা শুরু। এরপর থেকে উদিতের এগিয়ে যাওয়ার পালা।বাংলাদেশেও একাধিক চলচ্চিত্র এবং অডিও মাধ্যমে গান গেয়েছেন উদিত নারায়ণ। আঁখি আলমগীরের সঙ্গে তাঁর একটি দ্বৈত গানের অ্যালবাম আছে।