কথা ছিল, মন্দিরে স্বল্প আয়োজনে, অল্প কিছু নিকট আত্মীয়ের উপস্থিতিতে হবে আদিত্য নারায়ণ ও শ্বেতা আগারওয়ালের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের ছবি আর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আয়োজনের কোনো কমতি নেই। মহাধুমধামে, অনেক মানুষের উপস্থিতিতে নেচেগেয়ে বিয়ে সেরেছেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন আদিত্য ও শ্বেতা। মালাবদল হলো এক দশকের এই প্রেমিক–প্রেমিকার। আদিত্যর পরনে ছিল সাদা শেরওয়ানি ও পাগড়ি, গলায় সবুজ পাথরের মালা। আর চোখে হলুদ সানগ্লাস।
বিয়ের প্রায় পুরোটা সময়ই আদিত্যর সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন গায়ক বাবা উদিত নারায়ণ ও মা দীপা নারায়ণ। আদিত্যর সঙ্গে মিলিয়ে কনে শ্বেতার পরনেও ছিল সাদা চুমকি পাথরের ভারী কাজের লেহেঙ্গা। গলায় পাথরের হার আর কনে পাথরের দুল।
৫০ জনের বেশি অতিথি ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। নরেন্দ্র মোদিকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অতিথি তালিকায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহা, ধর্মেন্দ্র, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, মাধুরী দীক্ষিত। আজ মুম্বাইয়ে একটা পাঁচতারকা হোটেলে চলছে রিসেপশন। তাই কারা সেখানে উপস্থিত হবেন, তা সময়ই বলে দেবে।
আদিত্যের একটি ফ্যান ক্লাব তাঁর বিয়ের কার্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে ইনস্টাগ্রামে। রুপালি রঙের বিয়ের কার্ডটি দেখতে বেশ ছিমছাম, রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। আদিত্যর বিয়েতে তাঁর মা ও বাবা নেচেছেন ঢোল আর গানের তালে তালে।
উদিত নারায়ণ কইমই ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রোববার মেহেদি অনুষ্ঠান হয়েছে। সোমবার হয়েছে গায়েহলুদ। মঙ্গলবার বিয়ে। এরপর রিসেপশন। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শত্রুঘ্ন সিনহা, ধর্মেন্দ্র, রণবীর সিংহ, দীপিকা, মাধুরী দীক্ষিতসহ অনেককেই নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। তবে কোভিডের সংক্রমণ বেড়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহভাবে আঘাত হানছে। এই অবস্থায় তাঁরা আসবেন কি না, সেটা অনিশ্চিত।’
উদিত আরও বলেন, ‘আমরা বাবা-ছেলে দুজনই দীর্ঘদিন একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। তাই বিনোদনজগতের তারারা তো থাকবেনই। তবে ইচ্ছা সত্ত্বেও কোভিডের কারণে সবাইকে দাওয়াত করতে পারিনি।’
২০১০ সালে ‘শাপিত’ ছবির সেট থেকেই আদিত্য ও শ্বেতার প্রেমকাহিনি শুরু। এই ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। এবার সেই প্রণয় পরিণয়ে পূর্ণতা পেল।