মুম্বাইয়ে পশ্চিম আন্ধেরিতে ইয়ারি রোডের নিজ বাসা থেকে গতকাল শনিবার উদ্ধার করা হলো বলিউডের প্রখ্যাত খলনায়ক মহেশ আনন্দের গলিত দেহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। আত্মহত্যা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, নাকি অন্য কোনো কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ অবশ্য আত্মহত্যার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি। যদিও কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য মহেশ আনন্দের মরদেহ স্থানীয় কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহেশ আনন্দ নিয়মিত মদ্যপান করতেন। ইয়ারি রোডের এই বাসায় তিনি একাই বাস করতেন। তাঁর স্ত্রী থাকেন মস্কোতে। তিনি কবে মারা গেছেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গত শতকের আশি ও নব্বই দশকের অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মহেশ আনন্দ। ১৯৮৪ সালে ‘কারিশমা’ ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। সেই ছবিতে আরও ছিলেন রীনা রায়, কমল হাসান, টিনা আম্বানি প্রমুখ। এরপর তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হিসেবে তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘শাহেনশাহ’, ‘মজবুর’, ‘স্বর্গ’, ‘থানেদার’, ‘বেতাজ বাদশা’, ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘বিজেতা’, ‘তুফান’, ‘আকেলা’, ‘গুমরাহ্’, ‘খুদ্দার’, ‘গাদ্দার’। সম্প্রতি তিনি গোবিন্দ আর মিশিকা চৌরাশিয়ার সঙ্গে ‘রঙ্গিলা রাজা’ ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, ধর্মেন্দ্র, গোবিন্দ, মাধুরী দীক্ষিতসহ অনেক তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন।