কারিশমা না কারিনা,কে বেশি পড়ুয়া

অভিনেতা রণধীর কাপুর, তাঁর স্ত্রী ববিতা ও দুই মেয়ে কারিশমা কাপুর ও কারিনা কাপুর খান। ছবি: ফেসবুক
অভিনেতা রণধীর কাপুর, তাঁর স্ত্রী ববিতা ও দুই মেয়ে কারিশমা কাপুর ও কারিনা কাপুর খান। ছবি: ফেসবুক

দুই মেয়েই বলিউডে প্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে কারিশমা কাপুর নব্বইয়ের দশকে রুপালি পর্দা কাঁপিয়েছেন। এখন রুপালি পর্দায় নিজেকে মেলে ধরেছেন ছোট মেয়ে কারিনা কাপুর। দুই মেয়েকে নিয়ে এবার বাবা রণধীর কাপুর মুখ খুললেন। তাঁর কথায় উঠে এল, কে বেশি পড়ুয়া ছিল শৈশবে, কে ছিল ফ্যাশনসচেতন।
দুই মেয়েকে নিয়ে বাবা রণধীর বলেন, ‘দুজনেই অভিনয়শিল্পী হতে চেয়েছিলেন। আমাদের পরিবারটাই আসলে অভিনেতা দিয়ে ভরা। আমাদের পরিবারের প্রচুর লোক চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত—চাচা, চাচি, বাপ, দাদা—পুরো বাড়িই অভিনেতা দিয়ে ভরা।’
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এই অভিনেতা তাঁর দুই মেয়ের রুচি নিয়ে বললেন। কে ফ্যাশনসচেতন আর কে বইয়ের মধ্যে চোখ ডুবিয়ে রাখতেন, উঠে এল সেসব প্রসঙ্গ। রণধীর বলেন, ‘হ্যাঁ, সে (কারিনা) বেশি ফ্যাশনসচেতন। সে তখনই ইন্ডাস্ট্রিতে আসছে যখন ফ্যাশন বলিউডে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।’

ছোট মেয়ে ফ্যাশনসচেতন হলেও বড় মেয়ে কিন্তু শৈশবে ছিলেন পড়ুয়া। এই কথা বাবা রণধীর কাপুরের। অন্যদিকে কারিনা নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি পড়ালেখায় অতটা জুতসই ছিলেন না। ১৭ বছর বয়সেই কলেজ পালিয়ে ঢুকে পড়েন অভিনয়ে।

কারিনা, কারিশমা ও কারিশমাকন্যা সামাইরা।

এক সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেছিলেন, ‘এখন শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আমার স্নাতক ডিগ্রি থাকা উচিত ছিল। কিন্তু আমি অভিনয় করতে চেয়েছিলাম, সেটাই করতে শুরু করি। এখন আমি বুঝি। আমি খুব বেশি পড়ালেখা করিনি। আমার কোনো ডিগ্রিও নেই। আমি সব সময়ই তৈমুরকে তার পড়ালেখা শেষ করার জন্য চেষ্টা করব।’

কারিশমা কাপুর, সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান

কারিনা কাপুর খানকে দেখা গেছে আংরেজি মিডিয়াম ছবিতে। এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন প্রয়াত ইরফান খান। কারিনাকে দেখা যাবে আমির খানের সঙ্গে লাল সিং চাড্ডা ছবিতে। এই ছবিতে কারিনার বিপরীতে অভিনয় করছেন আমির খান। আর করিশমা কাপুর এখন খুব একটা জ্বলে উঠতে পারছেন না।

২০১৮ সালে শেষ শাহরুখ খান অভিনীত জিরো ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে। মেন্টালহুড ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হয়েছে কারিশমার।

কারিনা কাপুর খান


করিশমার প্রথম ছবি ‘প্রেম কয়েদি’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯১ সালে। তার ন’বছর পরে করিনা আত্মপ্রকাশ করেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ২০০০ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম ছবি ‘রিফিউজি’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিল্মোগ্রাফিতে তিনি টেক্কা দেন করিশমাকে। জনপ্রিয়তার নিরিখেও এগিয়ে যান করিনাই। তবে তা নিয়ে সম্পর্কের টানাপড়েন কোনদিন প্রকাশ্যে আসেনি। বরং, করিনার জীবনে ছোট থেকেই বড় বোন এবং মায়ের প্রভাব গভীর।

তৈমুর আলী খানের তৃতীয় জন্মদিনে মা কারিনা কাপুর ও খালা কারিশমা কাপুর।