বলিউড

র‍্যাগিংয়ে সেদিন তাঁর ভাগ্য খুলে যায়, এখন কোটিপতি ‘জিতু ভাইয়া’

বিনোদন ডেস্ক
‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা ভাষার দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন মূল অভিনেতা জিতেন্দ্র কুমার। কমেডি, ড্রামা ঘরানার সিরিজটিতে অভিষেক ত্রিপাঠি চরিত্রে তুমুল আলোচিত তিনি। অভিনয় করতে না চাওয়া পঞ্চায়েতখ্যাত এই জিতেন্দ্রকে আসুন ছবিতে দেখি।
পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব খড়গপুর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ পর্যন্ত আলিগড়ের ছেলেটির তেমন ইচ্ছা ছিল না অভিনয় করবেন
পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব খড়গপুর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ পর্যন্ত আলিগড়ের ছেলেটির তেমন ইচ্ছা ছিল না অভিনয় করবেন
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সময় হঠাৎ তাঁর অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মে। এ গল্পটাও যেন সিনেমার মতো
ঘটনাটা বেশ মজার। কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথমদিকেই র‍্যাগিংয়ের শিকার হতে হয় জিতেন্দ্রকে। সিনিয়ররা তাঁকে ধরিয়ে দেন আল পাচিনোর ‘দ্য সেন্ট অব অ্যা ওমেন’ এর ইমোশনাল কয়েকটি লাইন। এটা সিনেমার মতো অভিনয় করে দেখাতে হবে। ইমোশনাল লাইনগুলো নীরসভাবে এমন আস্তে আস্তে বলতে থাকেন যে তাঁর সঙ্গে থাকা আরেকজন হাসিতে ফেটে পড়েন
র‍্যাগিংয়ে সেদিন তাঁর ভাগ্য খুলে যায়। সবার হাসাহাসির অর্থ বুঝতে পারেন না জিতেন্দ্র। সংলাপগুলো সাবলীল বলে যাওয়ায় তরুণ এই শিক্ষার্থীর সাহসে সিনিয়ররা বেশ মুগ্ধ হয়। তাঁরাই তাঁকে পরামর্শ দেন হিন্দি ড্রামা সোসাইটিতে ভর্তি হতে
জিতেন্দ্রর সঙ্গে ড্রামা সোসাইটিতে পরিচয় হয় বিশ্বজিৎ সরকারের। স্বল্পভাষী এই ছেলের অভিনয় দেখে ভালো লাগে। তাঁরা জিতেন্দ্রকে তাঁদের টিভিএফ (দ্য ভাইরাল ফেবার) নামের অনলাইন স্ট্রিমিং চ্যানেলের সঙ্গে কাজ করতে বলেন। সেখানে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’, ‘দ্য ব্যাচেলর’ সিজন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। প্রথম দিকে প্রতি পর্বে এক থেকে দুই লাখ টাকা আয় করা জনপ্রিয় এ অভিনেতা এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক
২০২০ সালে ‘পঞ্চায়েত’ প্রচারের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন। তাঁর খ্যাতি ভারতের বাইরে বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তবে এর আগে দর্শকের কাছে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’র জিতু ভাই নামে পরিচিত পেতে শুরু করেছিলেন। ভারতীয় দর্শকের কাছে এখনো তিনি ‘জিতু ভাইয়া’
এক সাক্ষাৎকারে জিতু জানিয়েছেন, তিনি বেড়ে উঠেছেন রাজস্থানে। তখন থেকেই তিনি নানা পাটেকর, অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যান্য অভিনেতাদের অভিনয়, বডি ল্যাংগুয়েজ অনেকটাই হুবহু নকল করতে পারতেন। এ বিষয়ে বেশ পারদর্শী ছিলেন। এটাই হয়তো তাঁকে অভিনয়ের দিকে ধাবিত করেছে
কলেজে পড়ার সময় বেশির ভাগ দিন বিকেলের আগে ঘুম থেকে উঠতেন না। ছিলেন ব্যাপক ফ্যাশন–সচেতন। তিনি অভিনয় করবেন শুনে তাঁর পরিবারের লোকজন সাফল্য নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন। তাঁকে শুনতে হয়েছে, অভিনয়ে সফল হবে না। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউব ভিডিওতে অভিনয় শুরু করেন
‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। দুটি সিনেমাতেই সাবলীল অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। তাঁর অভিনীত বেশির ভাগ চরিত্রে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে জিতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, এখনো নিয়মিত তাঁর কাছের বন্ধু–ভক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের আচার–আচরণ, কথা বলার ধরন পর্যবেক্ষণ করেন। এটাই তাঁকে সাধারণ মানুষ হিসেবে পর্দায় দেখাতে সাহায্য করে
জিতেন্দ্রকে সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়, আপনি কার ভক্ত। তরুণ এ অভিনেতা শাহরুখ খানের ভক্ত
আরও পড়ুন