করোনা বিনোদন দুনিয়ার অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। পিছিয়ে গেছে একের পর এক ছবির মুক্তির তারিখ। দেখা গেছে, ছবির পুরোপুরি কাজ শেষ, করোনার ঢেউয়ে আটকে আছে মুক্তি। এ তালিকায় আছে অক্ষয় কুমারের বড় বাজেটের ছবি ‘পৃথ্বীরাজ’।
বড় বাজেটের এ ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিতে চায়নি প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মস। প্রযোজক এবং নায়কের সিদ্ধান্ত, সিনেমা হলেই মুক্তি দেওয়া হবে। অবশেষে ‘পৃথ্বীরাজ’ মুক্তির দিনক্ষণ জানালেন অক্ষয় কুমার।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টার শেয়ার করে অক্ষয় জানালেন, চলতি বছরেরই জুনের ৩ তারিখ মুক্তি পাবে। সেদিন হিন্দি, তামিল ও তেলেগু, মোট তিনটি ভাষায় বড় পর্দায় রিলিজ করছে এই সিনেমা। ছবির নতুন পোস্টারে ‘পৃথ্বীরাজ’রূপে তলোয়ারধারী অক্ষয়কে দেখা গেল।
এর আগে ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে তখন করোনার নতুন ঢেউ শুরু হয়। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল, বিহার, হরিয়ানার মতো একাধিক রাজ্যে প্রেক্ষাগৃহের দুয়ার বন্ধ করে দেয় সেখানকার স্থানীয় সরকার। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ুতে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে চলছে হলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বড় বাজেটের বলিউড ছবি মুক্তি দিলে ঝুঁকি হয়ে যাবে, এমন ভাবনায় রিলিজ পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অবশেষে যশরাজ ফিল্মস তাদের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ‘পৃথ্বীরাজ’ মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করেছে।
সিনেমার টিজারেই সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের দাপুটে ব্যক্তিত্বের ঝলক উপহার দিয়েছিলেন অক্ষয়। সেই সঙ্গে রাজত্ব থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়ানো এক রাজার প্রেমকাহিনির আভাসও পাওয়া গেছে। অক্ষয় ও মানুষি ছিল্লার ছাড়াও সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত ও সোনু সুদ। আছেন আশুতোষ রানা, সাক্ষী তনওয়ার, মানব বিজ ও ললিত তিওয়ারিও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার মুক্তির পর বেশ সাড়া পড়ে। ভক্তরা বলছেন,পৃথ্বীরাজ চৌহানের ভূমিকায় দারুণ মানিয়েছে অক্ষয়কে। আর সম্রাটের স্ত্রী সংযুক্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী মানুষি ছিল্লার। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কম পরিশ্রম করতে হয়নি অক্ষয় কুমারকে। পৃথ্বীরাজ চৌহানের চরিত্রকে আত্মস্থ করতে গিয়ে তাঁর বিষয়ে পড়াশোনাও করেছেন। আর যত জেনেছেন, ঠিক ততটাই অবাক হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে।
২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল ‘পৃথ্বীরাজ’-এর শুটিং। সে সময় সবাই ধরেই নিয়েছিলেন যে এই ছবি অক্ষয় কুমারের ক্যারিয়ারে বিশেষ সংযোজন হতে চলেছে। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় ছবির কাজ। পরে আবার শুরু হয়।