বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের দাবি, তাঁর এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। বলিউডে কমবেশি অনেকেই এ সম্পর্কে জানেন। দীপিকা নাকি আগামী দিনে কী ঘটতে চলেছে, সেই আভাস পান। এমনকি করোনা মহামারি সম্পর্কেও নাকি আগে থেকেই আভাস পেয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই বলিউড তারকা।
নিজের জীবনে কী ঘটতে চলেছে, এমন অনেক আভাস ঘটনার আগেই পেয়েছেন দীপিকা। তাই অনেক সময় তিনি নিজে সতর্ক হয়েছেন, আবার আশপাশের মানুষকেও সাবধান করেছেন। এমনকি রণবীর কাপুর যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করবেন, এমন আভাসও নাকি পেয়েছিলেন দীপিকা। তাই ২০০৯ সালেই ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে রণবীরকে হাতেনাতে ধরতে পেরেছিলেন তিনি। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী তাঁর আশপাশের মানুষ।
দীপিকা এবার জানালেন, করোনার এই ভয়াবহতার কিছুটা আভাস পেয়েছিলেন এই বলিউড অভিনেত্রী। তাই আগেভাগে সবাইকে সাবধান করেছিলেন তিনি। ‘প্যারিস ফ্যাশন উইক’-এ যাওয়ার কথা ছিল দীপিকার। তখনো প্যারিস করোনায় আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু দীপিকা আগেভাগে বুঝতে পেরেছিলেন করোনার ভয়াবহতার কথা। তাই তিনি প্যারিস যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন।
লকডাউনের আগেই একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য তাঁর কানাডা ও শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীপিকা নিজে উদ্যোগ নিয়ে সব সফর বাতিল করেন। এমনকি অন্যদেরও অযথা বাইরে ঘুরে বেড়াতে নিষেধ করেন। ছবিটির শুটিংয়ের জন্য দীপিকাসহ সব কলাকুশলীর ১৮ মার্চ শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আর ওই দিনই শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। এরপর তাঁদের কানাডা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ১৮ মার্চের পাঁচ দিন আগে এক সকালে দীপিকার এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। তিনি নাকি এক অশুভ ইঙ্গিত পান। তাই দেরি না করে তড়িঘড়ি ছবির নির্মাতা করণ জোহরকে ফোন করে জানান তাঁর এই অনুভূতির কথা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীপিকা করণকে বলেছিলেন, ‘আমার কোনো কিছুই ঠিকঠাক লাগছে না। মনে হচ্ছে, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সবাই ফেঁসে যাব। দীর্ঘদিন ভারতে ফিরতে পারব না। সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’ সারা বিশ্বে মহামারি করোনার এই তাণ্ডবের আভাস দীপিকা আগেই পেয়েছিলেন। তাই সব শুটিং তিনি পরিচালক ও প্রযোজকদের মত না থাকা সত্ত্বেও নিজ উদ্যোগে লকডাউন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগেই বাতিল করেন। পরিচালক শকুন বাত্রাও দীপিকার কথামতো তাঁর ব্যক্তিগত ট্যুরও বাতিল করেছিলেন। কারণ, ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই জানেন দীপিকার এই প্রতিভার কথা।
শকুন বাত্রার এই ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দীপিকা ছাড়া ছবিটিতে আরও আছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং অনন্যা পান্ডে। শকুনের এই ছবিটি একটি প্রেম কাহিনি নিয়ে।