‘আশা করি আপনাদের বসন্তের ছুটিও রৌদ্রোজ্জ্বল আর হাসিমুখে কাটছে। ঠিক যেমন কাটছে আমার আর মিশাল কির্পালানির।’ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন ইরা খান, আমির খান ও রীনা দত্ত দম্পতির মেয়ে। সঙ্গে মিশাল কির্পালানি আর তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। তাঁরা এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া সান্টা বারবারায়। সেখানে তাঁরা বসন্তের ছুটি কাটাচ্ছেন। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইরার কপালে চুমু দিচ্ছেন মিশাল কির্পালানি। আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, তাঁরা দুজনই খুব খুশি। আনন্দে আছেন। সময়টা দুজনই দারুণ উপভোগ করছেন।
ইনস্টাগ্রামে ইরা খানের এই পোস্টে এখন মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বয়ফ্রেন্ড!’ আরেকজন মিশাল কির্পালানিকে অনুরোধ করে লিখেছেন, ‘প্লিজ, মেয়েটার মন ভেঙে দিয়ো না।’ ইরা আর মিশালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একজন লিখেছেন, ‘দারুণ রোমান্টিক জুটি!’ একজন তো লিখেই দিলেন, ‘আমির খানের হবু জামাই!’
এবার মিশাল কির্পালানির ব্যাপারে অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে। তাঁকে নিয়ে জানতে চাচ্ছেন। ইনস্টাগ্রামে মিশাল কির্পালানি লিখেছেন, তিনি একজন সংগীতশিল্পী, প্রযোজক ও কম্পোজার। সেখানে তাঁর গানের অনেক টুকরো টুকরো অংশ রয়েছে। ইরার অ্যাকাউন্টেও মিশাল কির্পালানির সঙ্গে তাঁর অনেক ছবি পাওয়া গেছে। ইরা খান নিজেও মিউজিকের ছাত্রী। ২০১৭ সালে শোনা গিয়েছিল, কম্পোজার রাম সম্পদের সহকারী হিসেবে মিউজিক ক্যারিয়ার শুরু করছেন ইরা। আমির খানের ‘দিল্লি বেল্লি’, ‘তালাশ’ ও ‘সত্যমেভ জয়তে’র মিউজিক কম্পোজ করেছেন রাম সম্পদ।
২০০২ সালের ডিসেম্বরে রীনা দত্তের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানেন আমির খান। এরপর মায়ের কাছেই আছেন এই দম্পতির দুই সন্তান জুনাইদ ও ইরা। এরই মধ্যে আমির খান ছেলেকে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাবাকে নানা কাজে সহায়তা করছেন জুনাইদ। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক রেস্তোরাঁর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়ে ইরাকে নিয়ে হাজির হন আমির খান।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর আমির খান নতুন বছরের জন্য কিছু ওয়াদা করেছেন। বছরের শেষ দিন রাতে তা পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেখানে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, নতুন বছরে সন্তানদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাবেন। সন্তান বলতে এখানে শুধু কিরণ রাও আর তাঁর ছেলে আজাদ রাও খানকেই মনে করেননি, পাশাপাশি জুনাইদ ও ইরার কথাও বলেছেন। আমির খানের বয়স এখন ৫৪। ক্যারিয়ারের শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। যেসব অভাব সবাই অনুভব করে, তার সবই আছে আমির খানের। কিন্তু সবাই যেভাবে সন্তানদের কাছ থেকে ভালোবাসা পান, তেমনটা পাননি আমির খান। পরম এই পাওয়া থেকে তিনি নিজেই নিজেকে বঞ্চিত করেছেন।