২০১৮ সালের ২১ মে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ঢাকায় এসেই ছুটে যান কক্সবাজার। ঢাকায় এসে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের ভাবা উচিত। ভাবতে হবে আমাদেরও।’ সেখানে তিনি উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং ও জামতলী এবং টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন, ছুটে যান নাফ নদীর তীরে। বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। চার দিন ধরে কক্সবাজারে নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বই উপহার দেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হয়ে ১৩ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। কাজ করছেন শিশু–কিশোরদের নিরাপত্তা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মেট গালা আর ফ্রান্সে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি যোগ দেন। এরপর ছুটে গেছেন ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে। সেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের শিবির পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ইউনিসেফ পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পও ঘুরে দেখেছেন।
সেখান থেকে নিজের ফেসবুক পেজে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানিয়েছেন, ইথিওপিয়াতে তিনি শরণার্থী শিশু–কিশোরদের অধিকার নিশ্চিত আর নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে যান। সেখানে জেন্ডার ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সিবিস্তে নেগাসি প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলাম। সেখানে ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে স্কুলে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। দেশের সরকারের উদ্যোগেই এটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ২৬ লাখ শিশু এখনো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি। যারা পড়ছে, তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ অষ্টম শ্রেণির পর স্কুল ছেড়ে দেয়। দারিদ্রের জন্য পড়াশোনার চেয়ে তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সাংসারিক দায়িত্ব।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে ওয়র্ক জিউদের সঙ্গেও দেখা করেন। ইথিওপিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি।