মেয়ে পায়েল অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। জুভেনাইল ডায়াবেটিসে ভুগছেন। চিকিৎসকদের মতে, তিনি এখন প্রায় কোমায় আছেন। হাসপাতালে বছরখানেক রাখার পর তাঁকে মুম্বাইর খের এলাকার বাসায় নিয়ে যান তাঁর স্বামী ডিকি সিনহা। কিন্তু বাসায় মেয়ের যথাযথ দেখাশোনা হবে না, এমনটাই মনে করছেন ভারতের বাংলা ও হিন্দি ছবির বরেণ্য অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জি। এদিকে মা-বাবা তাঁদের মেয়ে পায়েলকে দেখার অনুমতির জন্য আদালতে গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মৌসুমী চ্যাটার্জি আর তাঁর স্বামী জয়ন্ত মুখার্জির পক্ষে তাঁদের আইনজীবী বেণি চ্যাটার্জি বোম্বে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে আদালতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বি পি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি এস ভি কতোয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ আজ শনিবারের মধ্যে ডিকি সিনহাকে এ ব্যাপারে হলফনামার মাধ্যমে জবাব দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
ডিকি সিনহা ও পায়েলের বিয়ে হয়েছে ২০১০ সালে। বিয়ের আগে থেকেই পায়েল জুভেনাইল ডায়বেটিসে ভুগছিলেন। গত বছর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এদিকে ব্যবসা নিয়ে মেয়ের জামাই ডিকি সিনহার সঙ্গে মৌসুমী চ্যাটার্জির ও জয়ন্ত মুখার্জির দ্বন্দ্ব এখন চরমে। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর থেকে স্ত্রীকে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেননি ডিকি সিনহা। মেয়ের অসুস্থতা, তাঁর চিকিৎসা আর তাঁকে ঠিকভাবে দেখাশোনা নিয়ে মা-বাবা খুবই শঙ্কিত। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁরা মেয়ের কাছে যেতে পারছেন না। সব উপায় ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
মৌসুমী চ্যাটার্জি আর জয়ন্ত মুখার্জির আশঙ্কা, হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার পর পায়েল প্রয়োজনীয় সেবা আর ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার না পেয়ে প্রায় কোমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। দ্য ইকোনমিক টাইমস।