একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আদালতে তার বিচার হচ্ছে। সেই বিচারের রায় দিচ্ছেন বিচারক। আর যিনি এই বিচারকের ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন, বাস্তব জীবনে তিনি নিজেই ধর্ষণের অভিযোগের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে যৌন হেনস্তার কয়েকটি অভিযোগ। তিনি অলোক নাথ। তাঁর যৌন হেনস্তার অভিযোগগুলো সামনে আসায় বড় পর্দা ও ছোট পর্দার সব কাজ থেকে অলোক নাথকে বাদ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো তদন্ত করেছে মুম্বাই পুলিশ। জানা গেছে, আবার বড় পর্দায় তিনি কাজ শুরু করছেন। #মি টু আন্দোলনের গল্প নিয়ে এই ছবির নাম ‘#ম্যায় ভি’। পরিচালক নাসির খান।
এরই মধ্যে ‘#ম্যায় ভি’ ছবিতে অলোক নাথের অভিনয় শুরু করার খবরটি জানাজানি হয়েছে। তাতে # মি টু আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা অবাক হয়েছেন। যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা হতাশা ব্যক্ত করছেন।
অলোক নাথের বিরুদ্ধে গত বছর ৮ অক্টোবর ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন বিনতা নন্দা। তিনি ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক। বড় পর্দায় কাজ করেছেন। অলোক নাথের স্ত্রী ছিলেন তাঁর ভালো বন্ধু। একসঙ্গে থিয়েটার করতেন। এ কারণে অলোক নাথের বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, অলোক নাথের বাসায় এক পার্টিতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনাটি গত শতকের নব্বই দশকের মাঝামাঝি।
‘#ম্যায় ভি’ ছবির খবর শুনে বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বিনতা নন্দা বললেন, ‘আমি জানি না আমার কী বলা উচিত। আমি বাকরুদ্ধ। খবরটা যখন আমার কানে আসে, তখন আমার চোখ ছিল পাকিস্তানে আটক উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ওপর। ভারতের মাটিতে তাঁর পা দেওয়াটা আমি দেখতে চেয়েছিলাম। আমি চাই ভগবান একটা হিংসামুক্ত পৃথিবী দিন আমাদের। এই মুহূর্তে অন্য কিছু ভাবতে পারছি না।’
এ ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে জানতে অলোক নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাংবাদিকেরা। অলোক নাথ তাঁদের আক্রমণ করে বসেন। বললেন, ‘আমি আবার অভিনয় করছি বলে মনে হচ্ছে আপনারা খুশি হননি। আপনাদের কী অসুবিধে শুনি?’ এরপর তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো শুটিং করছি না। যে ছবির প্রসঙ্গ আপনারা টেনে আনছেন, তার শুটিং অনেক আগেই করেছি। ছবিটি যিনি প্রযোজনা করছেন, তিনি আর্থিকভাবে ততটা সচ্ছল না। তাঁর অনুরোধেই ছবিতে একটা ছোট্ট চরিত্র করেছি আমি।’