অমিতাভের কারণেই তিনি কোটিপতি!

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে বিনিতা জৈন ও অমিতাভ বচ্চন
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে বিনিতা জৈন ও অমিতাভ বচ্চন

সনি চ্যানেলের জনপ্রিয় ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠান থেকে একজন কোটিপতি হলেন। সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে ১ কোটি রুপির পাশাপাশি একটি গাড়িও জিতেছেন গুয়াহাটির বিনিতা জৈন। অমিতাভের কারণেই কোটিপতি হতে পেরেছেন তিনি। শুরুতে তাঁর সহযোগিতা না পেলে এ পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হতো না এই প্রতিযোগীর।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র প্রতিযোগী বিনিতার জীবনকাহিনি হৃদয়বিদারক। সেসব ঘটনা আবেগাপ্লুত করেছে অনুষ্ঠানটির দর্শকেরা। ১৫ বছর আগে নিখোঁজ হন বিনিতার স্বামী। ব্যবসার কাজে পাশের দেশে গিয়ে জঙ্গিদের হাতে বন্দী হয়ে আর ফেরেননি তিনি। স্বামীকে হারিয়েও থেমে থাকেননি বিনিতা। নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। দুই সন্তানকে মানুষ করার জন্য শিক্ষকতা শুরু করেন।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে কোটি রুপি জেতার পর বিনিতা জৈন

সনিতে চলছে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানের দশম মৌসুম। গতকাল মঙ্গলবার রাতের পর্বে বিনিতার জন্য কোটি টাকার প্রশ্নটি ছিল ‘ভারতের কোন মামলার শুনানিতে ১৩ জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন?’ যথারীতি এ প্রশ্নেরও জবাব জানা ছিল তাঁর। কিন্তু কোনো ঝুঁকি নেননি এই প্রতিযোগী। ভুল করলে আগের সব টাকা হারাতেন তিনি। বেশ ভেবেচিন্তে সঠিক জবাব দিয়ে তিনি জিতে নেন ১ কোটি টাকা ও একটি গাড়ি। চোখের সামনে দুঃখী মেয়েকে কোটিপতি হতে দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বিনিতার বাবা।

এক কোটি রুপির পর বিনিতাকে দেওয়া হয়েছিল ৭ কোটি টাকার প্রশ্ন। ষোলোতম সেই প্রশ্নটি ছিল, ‘১৮৬৭ সালে প্রথম স্টক টিকার আবিষ্কার করেন কে?’ নিশ্চিত উত্তরটি জানা ছিল না বলে খেলা ছেড়ে দিয়ে ১ কোটি টাকা নিয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি।

বিনিতা জৈনকে দেওয়া এক কোটি রুপির প্রশ্ন

একের পর এক প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারায় বিনিতার ওপর ভীষণ খুশি হন অমিতাভ। এই প্রতিযোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন খ্যাতিমান এ অভিনেতা। কিন্তু শুরুতে তিনি যদি সাহায্য না করতেন, কোটি টাকা জেতা হতো না বিনিতার। দ্বিতীয় প্রশ্নেই খেলা থেকে বাদ পড়ে যেতেন তিনি। প্রশ্ন বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি করে জবাব দিয়েছিলেন তিনি। সেটা বুঝতে পেরে অমিতাভ তাঁকে একটি সুযোগ দিয়েছিলেন। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক জবাব দেন বিনিতা জৈন। সঠিক উত্তর পাওয়ার পর অমিতাভ সেটি ‘লক’ করে দেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস