অভিনেত্রীকে কুপিয়েছেন প্রযোজক

মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিনেত্রী মালভি মালহোত্রাকে কুপিয়েছেন এক প্রযোজক। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে বেশ কয়েকটি সার্জারি করাতে হবে।

ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ভারতীয় প্রযোজক যোগেশকুমার মহিপাল সিং। বছরখানেক আগে একটি তামিল সিনেমা করতে গিয়ে যোগেশের সঙ্গে মালভির পরিচয়। যোগেশের প্রযোজনায় একটি মিউজিক ভিডিও করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই মিউজিক ভিডিওর মিটিংয়েই প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন যোগেশ। ঘটনা সুবিধার নয় মনে করে মালভি প্রস্তাবে সম্মতি দেননি আর ওই প্রকল্প থেকে সরেও আসেন।

মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

ছুরিকাঘাতের ঘটনার বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় মালভির সঙ্গে। হাসপাতাল থেকে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মালভি বলেন, ‘আমি কেবলই দুবাই থেকে মুম্বাই ফিরেছি। যোগেশ আমাকে ক্রমাগত ফোনে বিরক্ত করছিলেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমি তাঁকে ব্লক করে দিই। তারপরও তিনি নতুন নতুন নম্বর থেকে ফোন করেই যাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমি মুম্বাইয়ের আন্ধেরির সেভেন বাংলোস ক্যাফেতে যাই। সেখানে মিটিং শেষে হেঁটে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। ওই ক্যাফে থেকে আমার বাড়ি পাঁচ মিনিটের পথ।’

মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মালভি বলেন, ‘হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে আমার পথ আটকে দেয়। গাড়ি থেকে নেমে আসেন যোগেশ। আমি তাঁকে এসব তামাশা বন্ধ করতে বলি। উল্টো সে গাড়ি থেকে নেমে ছুরি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল আমার মুখে আঘাত করার। আমি দুই হাত দিয়ে মুখ বাঁচিয়েছি। ফলে আমার দুই হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পাকস্থলীর দেড় ইঞ্চি গভীরে ঢুকেছে ছুরির ফলা। রাস্তার পাশেই কয়েকজন সাইকেল চালাচ্ছিলেন। তাঁরাই তুলে এনে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

মালভি মালহোত্রা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মালভির অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। দুটো হাতই অচল হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি সার্জারি করাতে হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারিও। সব মিলিয়ে সুস্থ্ হতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে তাঁর। পুলিশকেও বিবৃতি দিয়েছেন মালভি। ইতিমধ্যে মালভির পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা ছোট শহর থেকে এসে সংগ্রাম করে, তাদের সঙ্গেই এমন হয়। মালবি, আমি তোমার পাশে আছি। এই জঘন্য ঘটনার বিচার চাই।’