পাবনায় পালিত হচ্ছে সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবস

সুচিত্রা সেন
সুচিত্রা সেন

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা ও পাবনার কন্যা সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবস আগামীকাল মঙ্গলবার। দিবসটি পালন উপলক্ষে পাবনার সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। জেলা শহরের হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালায় এসব কর্মসূচি পালিত হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে স্মরণসভা ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করবেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে ভরতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে কথা রয়েছে। এ ছাড়া পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আবদুর রহিম, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, মেয়র শরীফ উদ্দীন প্রধান, প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক কামরুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু জানান, মহানায়িকা সুচিত্রা সেন পাবনা তথা দেশের গর্ব। আমরা তাঁকে হৃদয়ে লালন করি। মহানায়িকার মৃত্যু নেই। তিনি সব সময় বাঙালির হৃদয়ে থাকবেন। তাই তাঁর স্মৃতিচারণ করতেই আমাদের এই আয়োজন।

‘হারানো সুর’ (১৯৫৭) চলচ্চিত্রে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেরিন প্রকৌশলী দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি কলকাতায় চলে যান।

সুচিত্রা সেন

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি ভারতের কলকাতায় একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

সুচিত্রা সেনের মা ইন্দিরা দেবী গৃহবধূ ও বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন। ১৯৬০ সালে তাঁরা পাবনার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে সপরিবারে কলকাতায় চলে যান। ১৯৮৭ সালে জামায়াতে ইসলামী নিয়ন্ত্রিত ইমাম গাজ্জালী ট্রাস্ট বাড়িটি ইজারা নেয়।

২০০৯ সালে পাবনাবাসী বাড়িটি দখলমুক্ত করে সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই দখলমুক্ত করে জেলা প্রশাসন বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর বাড়িটিতে সল্প পরিষরে একটি সংগ্রহশালা করা হয়।