বিপাশা হায়াত অভিনয়শিল্পী। পাশাপাশি ছবি আঁকেন, নাটক লেখেন, পরিচালনাও করেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিবন্ধিত হন ১৯৮৯ সালে। এরপর অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটকে। তবে দর্শকের কাছে বিপাশা হায়াত আলাদা করে চোখে পড়েন ঠিক তার পরের বছর। তা ছিল একটি ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে। নাম অয়োময়। নাটকটির নাট্যকার ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আর প্রযোজক নওয়াজিশ আলী খান।
বিপাশা বলেন, অয়োময় ছিল টিভি নাটকের একটি মাইলফলক। এই নাটকে লবঙ্গ মুখ্য চরিত্র ছিল তা নয়, আর দশটা চরিত্রের মধ্যে একটি। নাটকের সব কটি চরিত্রই জাগতিক ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু লবঙ্গ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্বপ্নের মধ্যে বাস করে। খুব রোমান্টিক। এই ব্যাপারগুলো অন্য সব চরিত্র থেকে লবঙ্গকে আলাদা করেছিল। তার মধ্যে যে রোমান্টিকতা ছিল, তা ছুঁয়ে গিয়েছিল ওই সময়ের দর্শকের হৃদয়।
বিপাশা আরও বলেন, ‘আমার অভিনয়জীবনের একেবারে গোড়ার দিকের এই একটি মাত্র চরিত্র আমাকে দর্শকের সামনে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। দর্শকের হৃদয়ে আমার অবস্থান দৃঢ় হয়। লবঙ্গ বদলে দিয়েছিল আমাকে।’
তবে বিপাশা মঞ্চকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিলেন। বললেন, ‘মঞ্চে ভালো ভালো কাজ করেছি। কিন্তু দর্শক সেগুলো খুব বেশি মনে রাখেনি।’