হাসির কথা মাঝেমধ্যে হয়ে ওঠে প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। নাটক দেখে মানুষ হারাবে অন্য ভুবনে, হেসে গড়াগড়ি খাবে। যে সত্য কথাটি সোজাসাপ্টা কথায় বলাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, ঠিক সেই কথাই হাসির নাটক কিংবা সংলাপে অনেক সহজে বলা যায়। ব্যঙ্গ নাটক, হাস্যকৌতুকের মাধ্যমে মানুষের মনকে সজাগ ও সজীব করা যায়। লোকনাট্য দলের আলোচিত ‘কঞ্জুস’ নাটকটি তেমনই একটি প্রযোজনা।
‘কঞ্জুস’ নাটকের ৬৭০তম মঞ্চায়ন হলো গতকাল। লোকনাট্য দলের প্রযোজনায় বাংলাদেশের সর্বাধিক মঞ্চায়িত এই নাটকটি কাল মঞ্চস্থ হলো শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের দ্য মাইজার অবলম্বনে তারিক আনাম খান রূপান্তরিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন লিয়াকত আলী।
নাটকের গল্পটি অনেকেরই জানা। পুরান ঢাকার কৃপণ হায়দার আলী খানের সংসারের নানা ঘটনা নিয়ে এগিয়েছে নাটকটির কাহিনি। তাঁর ছেলে কাযিম আলী খান ও মেয়ে লাইলী বেগম। পাশের মহল্লার মর্জিনার প্রেমে পড়ে কাযিম। আর ছদ্মবেশী প্রেমিক গৃহকর্মী বদি মিঞার সঙ্গে চলে লাইলীর মন দেওয়া-নেওয়া। সমস্যা বাঁধে যখন কঞ্জুস হায়দার আলী ছেলের প্রেমিকাকে বিয়ে করার ফন্দি করেন। আর ছেলের সঙ্গে এক বিধবা নারীর বিয়ে ঠিক করেন। অন্যদিকে, মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন ৫০ বছর বয়স্ক বন্ধু মির্জা আসলাম বেগের সঙ্গে। এ নিয়ে প্রতি মুহূর্তেই হাসি-তামাশার মধ্য দিয়ে ঘটতে থাকে নানা ধরনের ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প।