ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ‘চতুর্থ মাত্রা’, ‘ডুবসাঁতার’খ্যাত নির্মাতা নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডোনার’। শিগগির মুক্তি পাবে গুণী এই নির্মাতার পরের ছবি ‘মানুষের বাগান’। সামনে আছে ‘পেয়ারার সুবাস’। এসব নিয়েই আলাপ হলো নিভৃতচারী এই নির্মাতার সঙ্গে।
হইচইয়ের ভালোবাসা দিবসের আয়োজন ‘পাঁচফোড়ন’–এর জন্য ওয়েব কনটেন্ট ‘ডোনার’ বানালেন, এ সম্পর্কে কিছু বলেন?
নুরুল আলম আতিক: কী বলব। ভালোবাসা দিবসের কনটেন্ট যেমন হয়, তেমনই। আলাদা কিছু না। ছেলেটা মেয়েটা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। এই তো। নাটকে তারিক আনাম খানের ছেলে ইয়াশ রোহান আর ফজলুর রহমান বাবুর মেয়ে অর্চিতা স্পর্শিয়া। এখানে আবার বাবা (তারিক আনাম খান) আর ছেলের (ইয়াশ রোহান) প্রেম সমান্তরালে চলে।
‘মানুষের বাগান’ ছবির কাজ কত দূর?
নুরুল আলম আতিক: কাজ শেষ। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্সর বোর্ডে জমা দেব। এই বছরেই দেশের মানুষ ছবিটি দেখতে পাবে।
গল্পের বিষয় কী?
নুরুল আলম আতিক: বলা যাবে না। পাঁচটা গল্প আছে। যেগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। সিনেমা শেষে পাঁচটা গল্প এক বিন্দুতে মিলে যায়। বোঝা যায়, গল্প আসলে একটাই।
‘পেয়ারার সুবাস’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ছবি দুটির কী অবস্থা?
নুরুল আলম আতিক: ‘পেয়ারার সুবাস’ বৈবাহিক সম্পর্কের গল্প। এখানে তারিক আনাম খান, জয়া আহসান, আহমেদ রুবেল, সুষমা সরকারসহ আরও অনেকে আছেন। ছবিটির শুটিং শেষ। প্রযোজনা–পরবর্তী কাজ চলছে। আর ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ মুক্তিযুদ্ধের ছবি। শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ শুটিং করে রেখেছিলাম। আকাঙ্ক্ষা ছোট করে আবার নতুন করে ছবিটা নিয়ে ভাবতে হবে, আয়োজন করতে হবে। তা ছাড়া, এখন নতুন ছবির পাণ্ডুলিপি লিখছি।
সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। কেমন মেয়র চান?
নুরুল আলম আতিক: এই শহরে ‘নড়াচড়া’ একটা বড় সমস্যা। নানা সমস্যার ভেতর মশার কামড়ও একটা বড় সমস্যা। একবার ভাবুন, ঢাকা শহরে যদি করোনাভাইরাসের মতো কিছু ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে কী হবে! এসব ঘাপটি মেরে থাকা বিপদ নিয়ে আগাম সতর্কতা দরকার। মেয়ররা যে এসব নিয়ে ভাবেন না, সেটা তো ডেঙ্গুর সময়ই টের পাওয়া গেছে। আমি চাই, এই শহর, শহরের মানুষ মেয়রদের সুচিন্তিত ভাবনায় থাকুক। তাঁদের নিজেদের কথাও ভাবুক। কিন্তু ভাবনায় যেন এগুলোও থাকে।
আপনার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা কী?
নুরুল আলম আতিক: প্রচুর কাজ হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে অনেক কাজ হচ্ছে। ভালো কাজ ইন্ডাস্ট্রির দেয়ালের বাইরে চলে যাওয়ার মানে হলো, ইন্ডাস্ট্রি ঠিক নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, বড় সমস্যাটা বিপণনে। ‘স্মুথ ডিস্ট্রিবিউশন সার্কিট’ বলে কিছু নেই। যথাযথ ‘স্কুলিং’ নেই। নির্মাণ প্রক্রিয়ার পুরো সিস্টেমটাও আমরা এখনো ঠিক রপ্ত করে উঠতে পারিনি। হলের সংকট প্রকট। কিন্তু সবার আগে এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শেখার ঠিকঠাক প্রতিষ্ঠান দরকার। তবে খুবই ইতিবাচক দিক হলো, বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় তরুণ নির্মাতার আবির্ভাব ঘটেছে। আর তাঁরা সময়, সমকালকে ভুলে নেই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট কি সেটা পারছে না?
নুরুল আলম আতিক: ওটা একেবারে এলেবেলে অবস্থায় আছে। আমাদের সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট, গতিশীল, যথাযথ ইনস্টিটিউশন দরকার। সেখানে চিত্রনাট্য, শব্দ, প্রযোজনা, ব্যবসা সব শেখানো হবে।