কথোপকথন

'আয়নাবাজি' দেখতে গেলে তিন ঘণ্টা সুন্দর কাটবে

>আজ মুক্তি পাচ্ছে অমিতাভ রেজা পরিচালিত ছবি আয়নাবাজি। এই ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটছে নাবিলার। টেলিভিশনের চেনামুখ হলেও বড় পর্দায় আজই নিজেকে প্রথম দেখবেন নাবিলা। তাই অভিষেকের আগের দিন নাবিলার সঙ্গে কথা হলো। তিনি বললেন তাঁর অপেক্ষা, উদ্বেগ, উত্তেজনা আর আনন্দের কথা—
নাবিলা
নাবিলা

রাত পেরোলেই আপনার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কেমন লাগছে?
কিছুদিন আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল আর কয়েক দিন বাদে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হতে যাচ্ছে। পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার আগে যেমন টেনশন হয়, ঠিক সে রকম লাগছিল। কিন্তু ছবি মুক্তি পাওয়ার আগের রাতের অনুভূতি আবার আরেক রকম। কাল কী পরব, কীভাবে সাজব এসব প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ছবির প্রচারে আবার নানা জায়গায় যেতে হচ্ছে। অনেক দৌড়াদৌড়ি। বিয়ের আগের রাতে যেমন ব্যস্ততা থাকে, এখন অনেকটা তেমন লাগছে।
‘আয়নাবাজি’তে আপনার চরিত্রের নাম হৃদি। সিনেমা দেখতে কি হৃদির মতো সেজে যাবেন, নাকি নাবিলার মতো?
সিনেমার হৃদির সঙ্গে বাস্তবের নাবিলার কিন্তু অনেক মিল। দুজনের সাজপোশাকও প্রায় এক রকম। ভাবছি শাড়ি পরেই নিজের প্রথম ছবি প্রথমবারের মতো দেখতে যাব। আমরা আয়নাবাজির পুরো দল প্রথম দিনই একসঙ্গে সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখব। আর ১ অক্টোবর যাব পরিবারের সবাই মিলে।
আমাদের দেশের অনেক অভিনেত্রীই এখন ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে তেমন প্রস্তাব পেলে কাজ করবেন?
যৌথ প্রযোজনার ছবির প্রতি আমার আগ্রহ নেই। কারণ, যৌথ বলা হলেও সেসব ছবিতে বাংলাদেশের শিল্পী বা বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকে খুব সামান্য। প্রায় পুরোটায় থাকে ভারতীয়দের আধিপত্য। নিজের দেশকে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলেই কেবল দেশের বাইরের ছবিতে কাজ করব।
দর্শকদের কিছু বলতে চান?
দর্শকদের আমি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে আয়নাবাজি দেখার অনুরোধ করব। আমি এটুকু বলতে পারি যে প্রিয়জনকে নিয়ে এই সিনেমা দেখতে গেলে তিনটি ঘণ্টা খুব সুন্দর কাটবে। সত্যিকারের বিনোদন পেতে চাইলে অবশ্যই সবাই আয়নাবাজি দেখবেন।
সাক্ষাৎকার: নাদিয়া মাহমুদ