দেশের বাইরের বেশ কয়েকটি উৎসবে দেখানোর পর আলোচনায় এসেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘কমলা রকেট’। অর্জনের ঝুলিতে জমা হয়েছে বেশ কয়েকটি পুরস্কার। এবার দেশ থেকে পুরস্কার পেল নূর ইমরান মিঠু পরিচালিত ছবিটি। ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব ১৪২৫’-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘কমলা রকেট’।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলনায়তনে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব ১৪২৫’-এ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের হাত থেকে হীরালাল সেন পদক গ্রহণ করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সঞ্চালক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখ।
উৎসবে দেখানো হচ্ছে মোট ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সেরা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রকে দেওয়া হয় হীরালাল সেন পদক। এ বছর মোট ছয়টি চলচ্চিত্রকে হীরালাল সেন পদকের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ছবিগুলো হলো ‘দেবী’, ‘কমলা রকেট’, ‘জন্মভূমি’, ‘পাঠশালা’, ‘সনাতন গল্প’ এবং ‘মাটির প্রজার দেশে’।
‘হীরালাল সেন পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমিত্র শেখর, চলচ্চিত্র পরিচালক আবু শাহেদ ইমন এবং ‘কমলা রকেট’ ছবির পরিচালক নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি ভবিষ্যতে এই উৎসবের কলেবর বৃদ্ধি পাবে।’ পদক পাওয়ায় তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও ‘কমলা রকেট’ ছবির সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানান।
ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘হীরালাল সেনের নামে পদকপ্রাপ্তি নিঃসন্দেহে গুরুত্বের এবং ভালো লাগার। আমাদের এই ছবি এর আগে দেশের বাইরে থেকেও সুনাম বয়ে এনেছে। এবার এই পদক পেল। এই ছবির নির্মাতাসহ যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই।’
‘কমলা রকেট’ ছবির পরিচালক নূর ইমরান মিঠু বলেন, ‘কমলা রকেট’ ছবির সব ধরনের প্রাপ্তি আমাকে আনন্দিত করে। উচ্ছ্বসিত হই, অনুপ্রাণিত হই। এর আগেও ছবিটি শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ অন্যান্য দেশে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা, কারণ আমার মতো তরুণ নির্মাতার ওপর তাঁরা আস্থা রেখেছেন।’
১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’ চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।