৯১তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ড

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ১০ অ্যানিমেশন

৯১তম অস্কারের রেসে কোন কোন সিনেমা নামছে? জানা যাবে ২২ জানুয়ারি। একই সঙ্গে পাওয়া যাবে ‘বেস্ট অ্যানিমেটেড শর্ট’-এর তালিকাও। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর অবশ্য জানা গেছে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ১০টির নাম। আগের বছরগুলোতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা স্বল্পদৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন সিনেমাগুলো লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকত; এবার সব কটিই দেখা যাচ্ছে অনলাইনে। তবে তা-ও নাকি অল্প কিছুদিনের জন্য। ফলে এই ফাঁকে দেখে নিতে পারেন সিনেমাগুলো। তার আগে এই লেখায় ‘দেখে নিন’ সেগুলোর ‘ট্রেলার’। ১০ িসনেমা দেখে প্রতিবেদনটি লিখেছেন মাহফুজ রহমান
বাও
বাও

বাও

পিক্সার অ্যানিমেশন-ভক্তদের জন্য নতুন রসনাবিলাস—বাও। শব্দটি এসেছে চীনা খাবার ‘বাওজি’ থেকে। গল্পটি এক চীনা-কানাডিয়ান নিঃসঙ্গ মাকে নিয়ে। ‘এম্পটি নেস্ট সিনড্রোমে’ ভুগতে থাকা এই মা একদিন বাওজি বানাতে বানাতে নতুন করে মাতৃত্বের স্বাদ পেতে শুরু করেন! তারই হাতে বানানো একটি বাওজি পুঁচকে এক ছেলেতে রূপান্তরিত হয়। গল্প, অ্যানিমেশন, সংগীত—সব মিলিয়ে পরিচালক হিসেবে অভিষেকেই বাহবা কুড়িয়েছেন ডোমি শি। এ ছাড়া ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন প্রথম নারী হিসেবে পিক্সারের স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই অ্যানিমেশন বানিয়ে।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2yF6iQp

এজ অব সেইল

এজ অব সেইল
সিনেমাটি মূলত গুগল স্পটলাইট স্টোরিজের প্রথম প্রকল্প। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির জন্য এটি বানিয়েছেন মার্কিন অ্যানিমেটর জন কারস। এই নির্মাতা ২০১৩ সালে বেস্ট অ্যানিমেটেড শর্ট বিভাগে পেপারম্যান সিনেমাটির জন্য অস্কার জিতেছিলেন। এবার এজ অব সেইলে বলেছেন ১৯০০ সালের গল্প। উত্তর আটলান্টিকের বুকে নৌকা নিয়ে ভাসতে থাকা নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ নাবিক একদিন দেখেন, পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া জাহাজ থেকে এক তরুণী পড়ে যাচ্ছে। শেষমেশ ওই তরুণী যেন আশার আলো হয়ে উঠে আসে বৃদ্ধ নাবিকের ছোট্ট তরিতে।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2B5rpdx

বিলবি

বিলবি
প্রথম দেখায় আইস এজ সিনেমার ‘স্ক্র্যাট’ চরিত্রটির কথা মনে পড়বে। স্ক্র্যাট যেমন একটা বাদাম রক্ষা করার জন্য জীবন বাজি রাখে, এই সিনেমায় তেমনই বিলবি প্রাণীটি লাল রঙের জামরুল ধরে রাখতে তৎপর। তবে শেষমেশ সে অ্যালব্যাট্রস পাখির ছোট্ট এক ছানাকে বাঁচাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। মজার ব্যাপার হলো, ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের ল্যারিকিনস নামে বাতিল হওয়া এক সিনেমার ছোট্ট একটি অংশ এই বিলবি। পরিচালনা করেছেন লিরন টোপ্যাজ, পিয়েরে পেরিফেল ও জে পি স্যানস।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2Daz1MV

বার্ড কারমা

বার্ড কারমা
ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের আরেকটি প্রযোজনা। পরিচালক উইলিয়াম স্যালাজার। কমেডি ঘরানার এই অ্যানিমেশনের মূল চরিত্র একটি তপস্বী বক। হ্রদের পানিতে যে নেচে-গেয়ে মাছ ধরে উদরপূর্তি করে। হঠাৎ তার নজর কাড়ে রঙিন এক মাছ। সেয়ানা সেই মাছ বেশ নাকানিচুবানি খাওয়ায় বককে। বকও কম বড় সাধক নয়; শেষমেশ রঙিন মাছকে পাকড়াও করে ফেলে। তবে না খেয়ে ছেড়ে দেয় পানিতে! পরমুহূর্তেই ভোল পাল্টে যে-ই তো সে-ই; মাছটিকে চালান করে দেয় পেটে। হজম করার আগেই অবশ্য ভোগ করে কর্মফল।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2Ft0trG

অ্যানিমেল বিহেভিয়ার

অ্যানিমেল বিহেভিয়ার
পাঁচটি প্রাণীর পাঁচ রকম মানসিক সমস্যা। জোঁকের সমস্যা বিচ্ছেদের কারণে, শূকরের সমস্যা অতিভোজনে, ঘাসফড়িং ভুগছে কোনো পুরুষকে ধরে রাখতে না পারার মতো জটিলতায়! একটি পাখি কেবল সবকিছুতে নিজের দোষ খুঁজে পায়। ওসিডিতে আক্রান্ত বিড়াল এবং মেজাজ গরম এক উল্লুকও আছে এই দলে। সমস্যা নিরাময়ে নিয়মিত এক সেশনে অংশ নেয় এরা। সেশন পরিচালনা করে মনোবিজ্ঞানী ড. এল ক্লেমেন্ট (ল্যাব্রাডর রেট্রিভার জাতের কুকুর)! সিনেমাটি বানিয়েছেন কানাডার এলিসন স্নোডেন ও ডেভিড ফাইন।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2FtnZ8a

গ্র্যান্ডপা ওয়ালরেস

গ্র্যান্ডপা ওয়ালরেস
অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম ওঠার আগেই বেশ কয়েকটি নামীদামি পুরস্কার উঠেছে এর তরুণ ফরাসি পরিচালক লুক্রেস আন্দ্রেয়ার হাতে। গল্পটিও অন্য সব অ্যানিমেশনের চেয়ে আলাদা। স্বামী হারানো এক বৃদ্ধা সমুদ্রের তীরে ছুটে যান মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে। সমুদ্রের এই বালুকাবেলা তার ভীষণ ধূমপায়ী স্বামীর খুব প্রিয় জায়গা ছিল। সিন্ধুঘোটকের মতো দিনমান রোদ পোহাতেন তিনি। ফলে এখানে এলে হারানো স্বামীকে খুঁজে পান বৃদ্ধা। কিন্তু বাকিরা যে যার বিষয়-আশয় নিয়ে ব্যস্ত ও বিরক্ত। একটা সময় সবার অনুভূতি অবশ্য মিলে যায় এক মোহনায়।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2QPnh6d

লেট আফটারনুন

লেট আফটারনুন
শেষ বিকেলের এক নারীর গল্প। চায়ের কাপে ডুবে যাওয়া বিস্কুটের অর্ধেক টুকরার সঙ্গে যিনি নিজেও ডুবে যান অতীতে। শৈশবের স্মৃতির স্রোত তাকে আবার ঠেলে দেয়ে বর্তমানের বালুকাবেলায়। পরক্ষণেই পুরোনো বইয়ের পাতা তাকে টেনে নেয় কৈশোরে। আবার বর্তমানে ফিরে এসে নিজের হাতের কুঞ্চিত চামড়ায় অতীত খুঁজে ফেরেন। পুরোনো একটি ছবি তাকে দাঁড় করায় স্বামীর পাশে। স্বামীকে হারানোর পর আসে সন্তান, সেই সন্তান তাকে বর্তমানে টেনে এনে দেয় আস্থা আর ভালোবাসা। চমৎকার এই অ্যানিমেশন বানিয়েছেন আইরিশ নির্মাতা লুইজি ব্যাগনাল।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2CjswG2

লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড

লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড
স্টপ মোশনে দারুণ জীবন্ত এই অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন অ্যান্ড্রু গোল্ডস্মিথ ও ব্র্যাডলি স্লেব। উলে বোনা একটি ডায়নোসর ও একটি শিয়াল হলো পাত্র-পাত্রী। এক সকালে ঘুম থেকে উঠে ডায়নোসর দেখে, তার ভালোবাসার পাত্রী কুয়ার জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। ডায়নোসর ছুটে যায় তাকে বাঁচাতে। কিন্তু একটা পেরেকে আটকে যায় তার উল। ফলে যতই সামনে এগোয়, ততই বিপন্ন হয়ে পড়ে সে। একসময় নিজেকে বিলীন করে দিয়ে শিয়ালের কাছে একটি সুতা হয়ে পৌঁছে যায় ডায়নোসর। সেই সুতা ধরে কুয়া থেকে উঠে আসে শিয়াল। বাকিটা না দেখে উপায় কী!
লিঙ্ক: https://bit.ly/2FBD7j4

ওয়ান স্মল স্টেপ

ওয়ান স্মল স্টেপ
ছোট্ট মেয়ে লুনার স্বপ্ন নভোচারী হবে। টানাটানির সংসারে মেয়ের স্বপ্নে জ্বালানি হয়ে কাজ করেন বাবা। জন্মদিনে মেয়েকে উপহার দেন নভোচারীদের মতো জুতা। জুতাজোড়া পায়ে গলিয়ে লুনা কল্পনায় উড়ে যায় গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সে বেছে নেয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। কিন্তু নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন দূরের গ্রহের মতো অধরাই থেকে যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর হতাশার কৃষ্ণগহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকে লুনা। কিন্তু একদিন ছেলেবেলার সেই জুতাজোড়া তাকে আবার টেনে তোলে। সিনেমাটির পরিচালক অ্যান্ড্রু চেসওর্থ ও ববি পন্টিলাস।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2OyAxLn

উইকেন্ডস

উইকেন্ডস
মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তাই ছোট্ট বালকটির পাঁচ দিন কাটে মায়ের সঙ্গে, ছুটির দুটি দিন বাবার কাছে। এই আসা-যাওয়ার মধ্যে ঘুরপাক খায় সে। দুই বাসায় দুই রকম পরিবেশ। কিন্তু ছোট্ট বালকটি মাঝেমধ্যে নিজেকে খুঁজে পায় পরাবাস্তব এক জগতে। যে জগৎ তার মা-বাবাকে এক ছাদের তলে নিয়ে আসতে চায়। তার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মায়ের নতুন বন্ধু এবং বাবার নতুন বান্ধবী। তরুণ নির্মাতা ট্রেভর জিমেনেজই আসলে এই সিনেমার সেই ছোট্ট বালক। আশির দশকে টরন্টোতে যে জীবন তিনি যাপন করে এসেছেন, সেটাই এই সিনেমার উপজীব্য।
লিঙ্ক: https://bit.ly/2VlVFJg