সবার কথা ভাবতে হবে

২০ বছর পর প্রতি সপ্তাহে যেন প্রেক্ষাগৃহে অন্তত একটি সিনেমা মুক্তি পায়। প্রতি জেলায় যেন একাধিক সিনেপ্লেক্স হয়। এমনকি গ্রামেও। বড়দের কাছে শুনেছি, আগে সহস্রাধিক প্রেক্ষাগৃহ ছিল। ভবিষ্যতে যেন সারা দেশে হাজার হাজার প্রেক্ষাগৃহ হয়। সব প্রেক্ষাগৃহের রমরমা অবস্থা থাকে। টিভি নাটকের অবস্থাও যেন ভালো হয়। এখন আমাদের দেশের শিল্পীরা বাইরের দেশে কাজ করছেন। তা শুনে আমরা খুব গর্বিত হই। 

বিদ্যা সিনহা মিম

ভবিষ্যতে যেন হলিউড আর বলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা আমাদের দেশের চলচ্চিত্রে কাজ করে গর্বিত হন। বাংলাদেশের কাজ আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার অর্জন করবে, বাণিজ্যিকভাবেও যেন সাফল্য পায়। বাংলাদেশের সিনেমা একযোগে সারা বিশ্বে মুক্তি পাবে। যেন বড় মুখ করে বলতে পারি, আমার দেশের ছবি মুক্তি পেয়েছে।

বিদ্যা সিনহা মিম

এই সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া বেশ লম্বা প্রক্রিয়া। আমি হুট করে বললে তা হবে না। এর জন্য সরকারি পর্যায় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। এখন চলচ্চিত্রের অবস্থা তেমন ভালো না। সবাইকে মিলে এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। প্রেক্ষাগৃহ দরকার। অনেক প্রযোজক নাই, নামী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। অনেক বিত্তবান ব্যক্তি আছেন আমাদের দেশে, তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে। এই প্রযোজকদের অনুরোধ করব, শুরুতেই লাভের চিন্তা করলে হবে না। একটু সময় দিন। এখন প্রযুক্তির যুগ। দেখবেন একসময় পুরো চিত্রই পাল্টে গেছে।

বিদ্যা সিনহা মিম

চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য আমার দিক থেকে সব সহযোগিতা করব। আমাদের মাঝে পেশাদারি মনোভাব দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। চলচ্চিত্রের সব পর্যায়ে মানুষজনকে পেশাদার হতে হবে। নিজের স্বার্থ নয়, সবার কথা ভাবতে হবে।