শেষের পথে ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন ছবির কাজ

‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি বছরেই
 ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি বছরেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। দ্বিমাত্রিক (টু-ডি) অ্যানিমেশন মাধ্যমে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের কাজ শেষের পথে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এতে কাজ করেছেন।
অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা। তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা প্রোলেন্সার স্টুডিও থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এর আগে বেশ কিছু টিভি নাটক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি।
সিনেমাটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে পোস্টপ্রোডাকশন। মুজিব বর্ষ সামনে রেখে এর অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। মুক্তি পাবে চলতি বছরেই।

‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রের জন্য গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মেঘদল ব্যান্ডের ভোকাল শিবু কুমার শীল

সম্প্রতি চলচ্চিত্রটির টিজার ও একটি গান প্রকাশিত হয়েছে প্রোলেন্সার স্টুডিওর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। পাশাপাশি প্রকাশ করা হয়েছে আরও বেশ কিছু ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে। গানটি প্রশংসা পাচ্ছে।

‘তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা’ গানটি এর আগেও ব্যবহার করা হয়েছে ‘অন্তরাল’ চলচ্চিত্রে। ১৯৬৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছবিটি। গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত। সুর করার পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছিলেন শ্যামল মিত্র।

‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন ছবির পোস্টার

প্রোলেন্সার স্টুডিওর নতুন সংগীতায়োজনে ‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রের জন্য গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মেঘদল ব্যান্ডের ভোকাল শিবু কুমার শীল। তিনি বলেন, ‘এটি খুব দারুণ একটা প্রস্তাব ছিল। কিবরিয়া, রনি, শোয়েব, সৌরভ—সব বন্ধু মিলে দাঁড় করালাম গানটা। তবে একটা চাপ ছিল। কারণ, এই গান আমাদের শ্রুতিতে একদম গেঁথে আছে। ভালো না হলে দর্শক নেবে না। ফলে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়েই কাজটা করেছি। আর এই ছবি সম্পর্কে যদি বলি, ছবিটি রিলিজ হলে আমাদের দর্শকেরা ভিন্ন কিছুই দেখতে পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’

চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, এটি দেশের প্রথম ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন ফিল্ম। প্রথম থেকেই তাঁরা গবেষণার ওপর ভীষণ জোর দিয়েছেন, ছবিতে যাতে কোনো ভুল না থাকে। তিনি বলেন, ‘আশা করি, আমরা দর্শকদের একটি অসাধারণ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারব, তাতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের গল্প সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব।’

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা

এর আগে ‘রাইট টু ওয়াটার’ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য রানা পেয়েছেন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার, যার মধ্যে আছে জার্মানির বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের গ্রিন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, ইতালির রিভার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বেস্ট শর্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড এবং ইস্তাম্বুলের কিসাকেস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বেস্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড।